নেপালকে উড়িয়ে সুপার সিক্স শুরু বাংলাদেশের
যুব বিশ্বকাপের সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে নেপালকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সেমি-ফাইনালে খেলতে হলে সুপার সিক্সে নিজেদের সব ম্যাচ জেতার পাশপাশি রানরেট ভালো রাখার কাজটাও করতে হবে মাহফুজুর রহমান রাব্বির দলকে। নেপালের বিপক্ষে সেই কাজটি অনেকটাই এগিয়ে রেখেছে বাংলাদেশের যুবারা।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা নেপালকে অল্প রানে গুটিয়ে দিয়ে প্রায় অর্ধেক ওভার বাকি থাকতেই সেই লক্ষ্য তাড়া করে ফেলেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের পরের ম্যাচটি ভালো ব্যবধানে জিতলে সেমি-ফাইনাল খেলার সুযোগ থাকবে স্টুয়ার্ট ল'র শিষ্যদের।
নেপালের দেওয়া ১৭০ রানের লক্ষ্য দ্রুত তাড়া করতে হলে কাউকে ঝড়ো ইনিংস খেলতেই হতো। সেই কাজটি ভালোমতোই করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশের দুই ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি ও জিশান আলম মিলে ৬৭ রানের জুটি গড়েন। ব্যক্তিগত ১৬ রানে শিবলি আউট হলেও রিজওয়ানকে নিয়ে রানের গতি সচল রাখেন জিশান।
১৫ রান করে রিজওয়ান আউট হওয়ার পর ৫৫ রান করে ফিরে যান জিশান। তবে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫৯ রান করে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন আরিফুল ইসলাম, নিজের ৩৮ বলের ইনিংসটি আরিফুল সাজিয়েছেন সাত চার ও দুই ছক্কায়। ১৪৮ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের ব্যবধানে জেতে বাংলাদেশ। নেপালের হয়ে ৪৪ রানে পাঁচটি উইকেটই নিয়েছেন সুবাশ ভান্ডারি।
এর আগে যুব বিশ্বকাপের সুপার সিক্সে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেপালকে মাত্র ১৬৯ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সুপার সিক্সে বাংলাদেশের দুই প্রতিপক্ষ নেপাল ও পাকিস্তান। সেমি-ফাইনালে যেতে হলে দুটি ম্যাচই জেতা লাগবে বাংলাদেশের।
টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন নেপাল অধিনায়ক দেব খানাল। শুরুতেই ২৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। সেখান থেকে ৬২ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন দেব খানাল ও বিশাল বিক্রম।
এরপর আবারও পথ হারায় নেপালের ইনিংস। আর কোনো বড় জুটি না হওয়ায় দলের রানও বাড়েনি বেশি। ১৬৯ রানেই অলআউট হয় তারা। ১০০ বল খেলে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেছেন বিশাল বিক্রম। বাংলাদেশের পক্ষে মাত্র ১৯ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়েছেন পেসার বর্ষণ, তিনটি উইকেট নিয়েছেন পারভেজ রহমান জীবন।