বোলিংয়ের আনন্দ ব্যাটসম্যানদের হতাশায় ম্লান
ছোট্ট একটি পরিসংখ্যান, তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে তা অনেক বড়। বিরলও বলা যায়। টেস্টের কোনো ইনিংসে বাংলাদেশের পেসাররা মিলে কখনও ১০ উইকেট নিতে পারেননি। সর্বোচ্চ উইকেট ৯টি, যা দেখা গেছে কেবল চারচার। সিলেট টেস্টে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে আরও একবার পেসারদের শিকার হতে পারতো ৯ উইকেট।
সেটা হয়নি, বাংলাদেশের তিন পেসার মিলে নিয়েছেন ৭ উইকেট। ২টি রান আউট ও তাইজুলের শিকার একটি উইকেট; তবে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস বড় হতে না দেওয়ার নেপথ্য নায়ক পেসাররাই। বিশেষ করে খালেদ আহমেদ ও অভিষিক্ত নাহিদ রানার বিপক্ষে ভুগেছে লঙ্কানরা। শুরুতেই চেপে ধরা খালেদের শিকার ৩ উইকেট, গতির ঝড় তোলা নাহিদ শেষ দিকে নেন ৩ উইকেট।
৬৮ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে শ্রীলঙ্কা তোলে ২৮০ রান। এতেই অবশ্য সন্তুষ্ট থাকার কথা সফরকারীদের। ৫৭ যে রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে তারা। এখান থেকে হাল ধরে ২০২ রানের জুটি গড়া ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস সেঞ্চুরি তুলে নেন। এ দুজনকে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কার ইনিংস ৩০০'র আগেই গুটিয়ে দেওয়ার অন্যতম কারিগর নাহিদ।
সব মিলিয়ে পেসারদের দারুণ দিনে প্রতিপক্ষকে অল্পতে বাধার স্বস্তিতে ছিল বাংলাদেশ। যদিও এই স্বস্তি স্থায়ী হয় মাত্র কয়েক মুহূর্ত। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩২ রান তুলে দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ, এর জন্য তাদের খরচা ৩ উইকেট। ফিরে গেছেন জাকির হাসান, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। বল হাতে দারুণ করার পরও তাই দিন শেষে পিছিয়ে বাংলাদেশই। ২৪৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শুরু করবে ঘরের মাঠের দলটি।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসের জবাবে দলীয় ১১ রানেই ওপেনার জাকিরকে হারায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার পেসার বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে থামেন ৯ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। কিছুক্ষণ পর শান্তকেও এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন ফার্নান্দো। এরপর মুমিনুলকে কাসুন রাজিথা ফেরালে বোলিংয়ে ভালো করার আনন্দ মিলিয়ে যায় বাংলাদেশের।