‘প্রত্যেক ম্যাচেই অনেক কিছু শেখা যায়’- বড় হারের পর শান্ত
উইকেট বৃষ্টির মাঝেও ব্যতিক্রম ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। বড় জয় পাওয়ার ম্যাচের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেন শ্রীলঙ্কার এই দুই ব্যাটসম্যান। স্পিনার হয়েও বাংলাদেশের তাইজুল ইসলাম দেখিয়েছেন, চাইলে টিকে থাকা যায়। সর্বশেষ প্রমাণ মুমিনুল হক, জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৭ রান করেও অপরাজিত থাকেন। প্রতিটা ইনিংসের মূলেই ছিল ধৈর্য ও মনোযোগ।
যে উইকেটে সেঞ্চুরি করা সম্ভব, সেই উইকেটে খেলা দুঃসাধ্য কাজ নয়; তা বলাই যায়। ম্যাচ চলাকালীন বা ম্যাচশেষে এটা বুঝতে পারার কথা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। হয়তো নাজমুল হোসেন শান্ত সহজেই উত্তর মিলিয়ে নিয়েছেন, এই টেস্ট থেকে শিখেছেনও। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক জানান, প্রতিটা ম্যাচ থেকেই অনেক কিছু শেখা যায়। এবারের শিক্ষা কী ছিল, সেটা অবশ্য নির্দিষ্ট করে বলেননি তিনি।
৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে হারা ম্যাচের কোনো ইনিংসেই সেঞ্চুরি করতে পারেননি বাংলাদেশের কেউ। মুমিনুলের ৮৭ দ্বিতীয় ইনিংসের সর্বোচ্চ, বোলার হয়েও মনোযোগী তাইজুল প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন। শান্ত দুই দলের তফাৎও দেখেছেন, এ সবই ভবিষ্যতে কাজে দেবে বলে বিশ্বাস তার, 'প্রত্যেক ম্যাচেই অনেক কিছু শেখা যায়। কী ভুল ছিল, কী ঠিক ছিল। একটু ভালোভাবে চিন্তা করলে শেখার আছে। এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে দেবে।'
দুই দলের টপ অর্ডারই ব্যর্থ হয়েছে, এরপরও শ্রীলঙ্কা চাপ কাটিয়ে ওঠে ধনঞ্জয়া ও কামিন্দুর ব্যাটে। দুই দলই ভুগেছে, এটাকে অজুহাত বানাতে চান না শান্ত, 'বড় রানের হোক আর ছোট রান, হার তো হার। ব্যাটিং যদি দুই ইনিংসেই দেখি, টপ অর্ডার ভালো করেনি। শুধু আমরা যে সমস্যায় পড়েছি এমন নয়। দুই দলেরই টপ অর্ডারের সমস্যা হয়েছে। এই অজুহাত দেওয়াও ঠিক হবে না। কীভাবে আরও ভালো করতে পারি, এটা নিয়ে কাজ করা দরকার। আশা করছি, সামনের ম্যাচ ভালো করব।'
শ্রীলঙ্কার দুই ইনিংসের শুরুতেই আঘাত হানে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়েও ২৮০ রান তোলে তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারানো লঙ্কানরা করে ৪১৮ রান। দারুণ শুরুর তৃপ্তিতে গা ছাড়া ভাব চলে এসেছিল? শান্ত অবশ্য তেমন মনে করেন না, 'টেস্ট ম্যাচে আসলে রিলাক্স থাকার সুযোগ নেই। কোনো খেলোয়াড় রিলাক্স ছিল না। সুযোগ এসেছিল, হয়নি। এটাও খেলার অংশ। সবাই নিজেদের শতভাগ দিয়েছে। ওদের দুই ব্যাটসম্যানকে কৃতিত্ব দিতে হবে।'