জিম্বাবুয়ে সিরিজে কিছু ম্যাচ না খেলার প্রসঙ্গে যা বললেন সাকিব
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজের প্রস্তুতি ক্যাম্পের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে ১৭ সদস্যের দল। আইপিএল খেলায় ব্যস্ত থাকা মুস্তাফিজুর রহমান ছাড়াও প্রস্তুতির ক্যাম্পে নেই সাকিব আল হাসান। কেবল ক্যাস্পেই নয়, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে তিনি কয়টি ম্যাচ খেলবেন, সেটাও নিশ্চিত নয়।
সিরিজের শুরু থেকে যে তিনি থাকবেন না, এ অবশ্য নিশ্চিত। প্রস্তুতি ক্যাম্পের দল দেওয়ার দিন বিষয়টি জানান বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। তিনি জানান, সিরিজের শুরুর দিকে সাকিবকে পাওয়া যাবে না। এ সময় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলবেন তিনি।
জাতীয় দলের হয়ে না খেলে সাকিব তখন প্রিমিয়ার লিগে কেন খেলবেন, ওঠে এমন প্রশ্ন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনা। যা চোখে পড়েছে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সাকিবেরও। এমন অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে সাকিব এও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এসব বিষয় দেখলে তার হাসি পায়।
টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই সব হয়েছে জানিয়ে অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার বলেন, 'আমেরিকা থাকলে ফেসবুকে বেশি সময় কাটানো হয়, দেশে থাকলে সময় পাই না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব দেখলে আমার একটু হাসিই পায় যে, মানুষ কতো রকম চিন্তা করতে পারে। যা হয়েছে বিসিবি আর আমার আলোচনার মাধ্যমেই হয়েছে। কারণ, আমাদের অন্যান্য খেলোয়াড়দেরও দেখা জরুরি। বিভিন্ন ধরনের কম্বিনেশন তৈরি করতে হলে আমাদের কী অবস্থায় থাকতে হবে, সে প্রস্তুতিটা নিতে পারি।'
প্রধান কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহের নির্দেশনা অনুযায়ী জিম্বাবুয়ে সিরিজে দুটি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা ছিল সাকিবের। কিন্তু অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ তাকে তিনটি ম্যাচে দলে চান। সাকিব বলেন, 'জিম্বাবুয়ে সিরিজে অবশ্যই খেলব। দেশে হয়তো এ নিয়ে একটা দ্বিধা চলছে।'
'সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটা নিয়ে কথা চলছে যে, আমি জিম্বাবুয়ে সিরিজে শুরু থেকে খেলব না, ডিপিএল খেলব। আসলে কোচ, অধিনায়ক সবার সঙ্গে আগে কথা বলে রেখেছিলাম। কোচ বলেছিলেন দুটি ম্যাচ খেললেই হবে। এরপর অধিনায়ক ও নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলি, তারা বলেছে দুটি না তিনটা ম্যাচ খেলো, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয়। আমি বলেছি সমস্যা নেই। এটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেটা নিয়ে দেশে এতো দ্বিধা দেখতে পাচ্ছি। খুবই অবান্তর আলোচনা।' যোগ করেন তিনি।
কোনোকিছুই নিজের চাওয়া মতো হয় না জানিয়ে সাকিব আরও বলেন, 'আসলে এগুলো আলোচনার মাধ্যমেই হয়, আমার ইচ্ছামতো হয় না। যেহেতু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুটি ম্যাচ থাকবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ তিন ম্যাচ খেলার আগে। সেহেতু দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে, এ ছাড়া প্রস্তুতিটাও ভালো হবে। সে কারণে আসলে এই দুটি ম্যাচ খেলা। এখানে এর বেশি নাই।'
আগামী ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশে আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হওয়া জিম্বাবুয়ে। প্রথম তিন টি-টোয়েন্টি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৩, ৫ ও ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে। শেষ দুই ম্যাচ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১০ ও ১২ মে অনুষ্ঠিত হবে। এই সিরিজ শেষে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপের স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ।