সিলেটে স্কুল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জ্যোতি-মারুফাদের অন্যরকম দিন
সাদা ইউনিফর্ম পরা শিক্ষার্থীরা ঘিরে রেখেছে, মাঝে কেবল নিগার সুলতানা জ্যোতি। নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক কাকে রেখে কাকে অটোগ্রাফ দেবেন, সামলে উঠতে পারছেন না। সোমবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পাঠানো বেশ কিছু ছবিতে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। যদিও বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের দৃশ্য এমন নয়। তবে এই ছবিটি হতে পারে দেশের নারী ক্রিকেটের বড় বিজ্ঞাপন, সিলেটে তিনটি স্কুলে গিয়ে জ্যোতি, মারুফা আক্তার, ফাহিমা খাতুনরা নিশ্চয়ই এটা অনুভব করেছেন।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলছে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়, যে ম্যাচে ৪৪ রানে হারে জ্যোতির দল। সোমবার বাংলাদেশের অনুশীলন ছিল না। এদিন সিলেটের তিনটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন জ্যোতি, মারুফা, ফাহিমারা। সঙ্গে ছিলেন বিসিবির উইমেন্স উইংয়ের প্রধান ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার।
জ্যোতি-মারুফারা দেশের হয়ে লড়ে আসছেন, মাঝে মাঝে তাদের পারফরম্যান্সে মেলে আনন্দের উপলক্ষ্যও। যদিও বাংলাদেশে নারী ক্রিকেটের বিশেষ প্রসার ঘটেনি। এখনও নিজের মেয়ে সন্তানকে এই খেলায় দেওয়ার বিপক্ষে অনেক পরিবারই, আছে আরও অনেক বাধাই। এখনও দেশের সব স্তরে ছড়ায়নি নারী ক্রিকেট। বিসিবি অবশ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, শুরু করা হয়েছে স্কুল ক্রিকেট।
সোমবার নিগাররা যে সিলেটের তিনটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন, এটাও বিসিবির সেই চেষ্টারই অংশ। এই চেষ্টার অংশ হয়েছে সিলেটের স্কুল তিনটিও। বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারদের আমন্ত্রণ জানায় সিলেটের আম্বরখানা গার্লস স্কুল, ব্লু বার্ড হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং আনন্দ নিকেতন গার্লস স্কুল। এই তিন স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলে, অটোগ্রাফ দিয়ে, ছবি তুলে সময় কাটে জ্যোতিদের।
তিনটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের হাতে নারী দলের অনুশীলন জার্সি তুলে দেন হাবিবুল বাশার। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কাটানো সময় দারুণ উপভোগ করেন জ্যোতিরা। ভালো সময় কাটানোর কথা বলেছেন বাশারও, 'স্কুলগুলো আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, আমরা সেখানে গিয়েছি। ক্রিকেটারসহ আমি দারুণ সময় কাটালাম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে।'
মূলত এটা একটি প্রচারণা ছিল। এই ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে নারী ক্রিকেটকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে জানিয়ে বাশার বলেন, 'মূলত এটি একটি প্রচারণামূলক পরিদর্শন ছিল। সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়। শিক্ষার্থীরা সামনে থেকে বাংলাদেশের অধিনায়ককে দেখেছে, অন্য ক্রিকেটারকে দেখেছে। এদের দেখে তাদের মধ্যে ক্রিকেটার হওয়ার তাড়না তৈরি হবে, তারা অনুপ্রেরণা পাবে।'