সমতায় শেষ বায়ার্ন-রিয়াল প্রথম লেগ
এই ম্যাচকে যে এমনি এমনি ইউরোপিয়ান ক্লাসিকো বলা হয় না, তার প্রমানই আরেকবার দিল বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে উত্থান-পতনের এক ম্যাচ ২-২ গোলের সমতায় শেষ হয়েছে।
আলিয়াঞ্জ এরেনায় বায়ার্নের সঙ্গে সমানতালে লড়াই করেছে রিয়াল। ম্যাচ সমতায় শেষ হওয়ায় আগামী সপ্তাহে বার্নাব্যুর লড়াইয়ে ঠিক হবে, কে যাচ্ছে ফাইনালে।
বায়ার্নের মাঠে ম্যাচের শুরুতে নিয়ন্ত্রণ নেয় বায়ার্ন। যদিও রিয়ালের গোলমুখে গিয়ে গড়বড় করে ফেলছিলো তারা। খেলার ধারার বিপরীতে ২৪ মিনিটে টনি ক্রুসের ডিফেন্স ছিন্নভিন্ন করে দেওয়া এক থ্রু বলে ভিনিসিয়ুসের দুর্দান্ত ফিনিশে এগিয়ে যায় রিয়াল।
প্রথমার্ধে বায়ার্ন ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালালেও সফল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই স্বাগতিকরা চেপে ধরে রিয়ালকে। ফলও আসে ৫৩ মিনিটে, বক্সের বাইরে থেকে বল নিয়ে রিয়ালের বক্সে ঢুকে বাম পায়ের রকেটগতির শটে লুনিনকে পরাস্ত করে বায়ার্নকে সমতায় ফেরান লিরয় সানে।
এরপর আসে বায়ার্নের এগিয়ে যাওয়ার পালা। চার মিনিট পরই মুসিয়ালাকে বক্সের ভেতর ফাউল করেন ভাজকেজ। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি৷ সেখান থেকে গোল করতে ভুল করেননি হ্যারি কেইন।
এরপর বায়ার্ন বেশ কয়েকটি সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে ব্যবধান বাড়ানোর। যার মূল্য তাদের চুকাতে হয়েছে ৮৩ মিনিটে। বক্সের ভেতর রদ্রিগোকে ফাউল করে বসেন বায়ার্ন ডিফেন্ডার কিম। এবারও রেফারির স্পষ্ট সংকেত- পেনাল্টি।
স্পট থেকে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি করে ম্যাচে আবারও সমতা ফেরান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল ম্যাচে হয় নি। এই ফলাফলে আদতে রিয়ালেরই লাভ হয়েছে। দ্বিতীয় লেগ যে ঘরের মাঠ বার্নাব্যুতে। ১৫তম শিরোপা জেতার লড়াইয়ে তাই বেশ ভালোভাবেই আছে কার্লো আনচেলত্তির দল।