আফসোস না থাকলেও ভবিষ্যতে আইপিএল খেলার আশায় তাসকিন
![](https://tbsnews.net/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/05/09/taskin.jpg)
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) সুযোগ পাওয়া বা টুর্নামেন্টটিতে খেলা না খেলার ব্যাপারে আগে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে তাসকিন আহমেদকে। আরও একবার একই ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন জাতীয় দলের ডানহাতি এই পেসার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন হলেও তাসকিনকে বেশি উত্তর দিতে হলো আইপিএল প্রসঙ্গে।
সুযোগ আসার পরও খেলতে না পেরে আফসোস হয় কিনা- থাকলো এমন প্রশ্নও। উত্তরে তাসকিন জানালেন, কোনো আফসোস নেই তার। ভারতের লিগটিতে খেলার ইচ্ছার কথা আগে বিভিন্ন সময়ে জানালেও এখন আর পেছন ফিরে দেখতে চান না তিনি। দৃষ্টি সামনে রাখা অভিজ্ঞ এই পেসারের বিশ্বাস, ভবিষ্যতে আইপিএলসহ বিদেশের আরও অনেক লিগেই খেলবেন তিনি।
গত কয়েক বছর ধরে দারুণ ধারাবাহিক তাসকিন। বিশেষ করে সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশের অন্যতম পেস অস্ত্র তিনিই। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতায় আইপিএলসহ অন্য লিগ থেকেও ডাক পেয়েছেন তিনি। ৯ বছরের ক্যারিয়ারে তার কেবল খেলা হয়েছে জিম্বাবুয়ে আফ্রো টি-টেনে।
আইপিএল থেকে একাধিকবার ডাক এসেছে তাসকিনের, খেলার সুযোগ পেয়েছেন লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগেও (এলপিএল)। কিন্তু জাতীয় দলের ম্যাচ, ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট, ফিটনেসসহ আরও কিছু কারণে বিসিবি থেকে খেলার পাননি তিনি। চলমান আইপিএলের মিনি নিলামেও নাম দিয়েছিলেন তাসকিন। কাঁধের চোটের পুনর্বাসনের কারণে শেষ পর্যন্ত নিলাম থেকে নাম তুলে নেন তিনি।
বর্তমানে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলায় ব্যস্ত তাসকিন, বল হাতে সময়টাও যাচ্ছে দারুণ। তিন ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করা বাংলাদেশের এই পেসার ৪.৪১ ইকোনমি ও ৮.৮৩ গড়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন। কাল মিরপুরে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি। এই সুবাদে সংবাদ সম্মেলনে আসেন তাসকিন। এখানে তার সামনে আইপিএল প্রসঙ্গ এলো মূলত মুস্তাফিজুর রহমানের কারণে।
বাংলাদেশের বাঁহাতি এই পেসার চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএল খেলে এসেছেন। আসরটিতে মুস্তাফিজ নিয়মিত, প্রতি আসরেই তাকে খেলার অনুমতি দেয় বিসিবি। কিন্তু কয়েকবার চেয়ে অনাপত্তিপত্র পাননি তাসকিন।
দুজনের বেলায় কি তাহলে বিসিবির দুই নীতি? তাসকিন বললেন, পেছনের ব্যাপার পেছনেই থাকুক। নিয়েন্ত্রণে নেই, এমন বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না তিনি। আগামীতে আইপিএল খেলার আশা কথা জানিয়ে তাসকিন বলেন, 'যে জিনিসটা চলে গেছে, সেটা তো আর নিয়ন্ত্রণে নেই। ইনশাআল্লাহ সামনে (আইপিএল) খেলব, যখন ফাঁকা সময় পাব। শুধু আইপিএল নয়, এখন তো আরও অনেক লিগ আছে।'
তাসকিনের মতো আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও নাম দিয়ে পরে নিলাম থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন। মাঝে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্ট তার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে খেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি তাকে। শরিফুলেরও খেলা হয়নি আইপিএল।
একেক জনের বেলায় একে ধরনের অবস্থান বিসিবির। বিষয়টি নিয়ে আবারও প্রশ্ন করা হয় তাসকিনকে। এবার তিনি বললেন, 'নীতি প্রায় একই (সবার জন্য)। হয়তো একেকজনের শরীরের ধরনের একেক রকম। এ জন্য বোর্ডের চিন্তার জায়গা থাকে। এ ছাড়া ফাস্ট বোলার যাদেরই দেখছেন, সবারই কোনো না কোনো ইনজুরি ম্যানেজ করতে হচ্ছে। হয়তো আমার শরীরের ধরন বা বোলিংয়ের ধরন ভিন্ন, এ জন্য আমি এবার যেতে পারিনি। আমার তো (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) টেস্টও খেলার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তের কাঁধের চোট ম্যানেজ করার জন্য আমি বিরতিতে গিয়েছি। হয়তো ভবিষ্যতে (আইপিএল) খেলব… আফসোস নেই কোনো।'
আইপিএল উজ্জ্বল ছিলেন মুস্তাফিজ, চেন্নাইয়ের হয়ে ৯ ম্যাচে নেন ১৪ উইকেট। তার আইপিএল অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপে কাজে লাগবে বলে আশা তাসকিনের। মুস্তাফিজকে দেশে ফিরিয়ে আনার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, 'আইপিএলে অনেক ভালো করেছে মুস্তাফিজ। যেহেতু ও এসেছে... ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে যতোটুকু বুঝতে পারছি, ওকে আনার কারণটা হচ্ছে দলের পরিকল্পনা ও কালচারের ক্ষেত্রে অবগত থেকে যেন (বিশ্বকাপে) যেতে পারে। কয়েকটা দিন বিশ্রামের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কারণ ও আমাদের মূল বোলারদের একজন। অবশ্যই ওর ভালো আইপিএল গেছে এবং সেখান থেকে অনেক অভিজ্ঞতা নিয়েছে।'