দুর্বার রিয়ালকে থামিয়ে ২৭ বছরের খরা ঘোচাতে পারবে ডর্টমুন্ড?
ধারে ভারে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে তুলনা চলে না বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের। কিন্তু ম্যাচটা যখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল, তখন দুই দলেরই সুযোগ সমান। তবে প্রতিযোগিতাটি সর্বোচ্চ ১৪ বার জেতা রিয়াল মাদ্রিদ আত্মবিশ্বাসের জায়গা থেকে অবশ্যই এগিয়ে থাকবে।
আজ রাতেই জানা যাবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ফুটবলপ্রেমিদের মনে উড়তে থাকা প্রশ্নের উত্তর- কে জিতবে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ? রিয়াল মাদ্রিদ নিজেদের ১৫তম শিরোপা তুলে ধরে নিজেদের রাজত্ব আরও বড় করবে নাকি ডর্টমুন্ড ২৭ বছর পর আবারও উঁচিয়ে ধরবে ইউরোপ সেরার ট্রফি? লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে এই মহারণ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত একটায়।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে আসার পথটা দুই দলের জন্য ছিল দুই রকম। রিয়াল মাদ্রিদ অনেকটা মসৃণভাবেই এসেছে শেষ ধাপে, তবে ডর্টমুন্ডের রাস্তা ছিল কণ্টকাকীর্ণ। গ্রুপ পর্বে নিজেদের সবকটি ম্যাচ জিতেছে রিয়াল। নকআউট পর্বে তারা একে একে বিদায় করেছে লাইপজিগ, ম্যানচেস্টার সিটি আর বায়ার্ন মিউনিখকে। এর মধ্যে সেমি-ফাইনালে বায়ার্নকে অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে হারিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
অপরদিকে ডর্টমুন্ডও নিজেদের গ্রুপে হয়েছে প্রথম। যেটি ছিল এবারের গ্রুপ অফ ডেথ। পিএসজি, এসি মিলান, নিউক্যাসলের মতো দলকে পেছনে ফেলে নকআউট পর্বে ওঠে তারা। সেখানে পিএসভি, আতলেতিকো মাদ্রিদ ও পিএসজিকে বিদায় করে ফাইনালে এসেছে এডিন তেরজিচের দল।
তারকায় ঠাসা রিয়াল দলে আলাদা করে নজর রাখতে হবে তিনজনের ওপর। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও জুড বেলিংহাম তো এবারের ব্যালন ডি'অর জেতার অন্যতম দুই ফেবারিট। এছাড়া টনি ক্রুস ক্লাব ফুটবলে নিজের সর্বশেষ ম্যাচটা খেলবেন আজ। ডর্টমুন্ড দলেও আছে তারুণ্য আর অভিজ্ঞতার মিশেল। জ্যাডন সাঞ্চো, করিম আদিয়েমি কিংবা জুলিয়ান ব্রান্ডটরা হতে পারেন নায়ক। ডর্টমুন্ডের হয়ে শেষ ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে বিদায় নিতে চাইবেন মার্কো রয়েস।
রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষে আছে ইতিহাস। নিজেদের খেলা শেষ আটটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালই জিতেছে লস ব্লাঙ্কোসরা। অপরদিকে ডর্টমুন্ড একবারই ইউরোপ সেরা হয়েছে, সেটিও ২৭ বছর আগে। এই ওয়েম্বলিতেই ২০১৩ সালে ফাইনাল হেরে কেঁদেছিলেন হামেলস-রয়েসরা। আজ ফাইনাল শেষে সাদার ঢেউ নাকি হলুদের উৎসব- এই প্রশ্নের উত্তর জানতে বাকি আর মাত্র কয়েক ঘন্টা।