তানজিম-তাসকিনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অল্পতে থামালো বাংলাদেশ
শুরুর ওভারেই তানজিম হাসান সাকিবের আঘাত। নিজের পরের ওভারেও করলেন উইকেট উদযাপন। তাতে যোগ দিলেন তাসকিন আহমেদ। দুর্বার হয়ে ওঠা তানজিম আবারও ফিরলেন ঘাতক হয়ে। তরুণ এই পেসারের তোপে ২৫ রানের আগেই ৪ উইকেট খুইয়ে ধুঁকতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা।
কিন্তু ধ্বংস্তূপ থেকে হাল ধরে দলকে এগিয়ে নিয়ে গেলে হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। তাদের ব্যাটে একশ ছাড়ানো সংগ্রহ পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্লাসেন-মিলারের বড় জুটির পরও অবশ্য প্রোটিয়াদের অল্পতে বেধে বাংলাদেশ।
সোমবার নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ৬ উইকেটে ১১৩ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টিতে ২০ ওভার ব্যাটিং করে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটাই তাদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ। দলটির হয়ে ব্যাটিং করা আটজন ব্যাটসম্যানের মধ্যে কেবল তিনজন দুই অঙ্কের রান করেন।
নিজের করা প্রথম তিন ওভারেই উইকেট নেন অসাধারণ বোলিং করা তানজিম। তার সঙ্গে সুর মেলানো তাসকিন তার নিজের করা দ্বিতীয় ওভারে পান উইকেটের দেখা। এই দুই বোলারের তোপে ২৩ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ঘোর সঙ্কটে পড়ে যায় প্রোটিয়ারা।
এখান থেকে হাল ধরেন ক্লাসেন ও মিলার। শুরুতে চাপ কাটিয়ে পরে রান তোলায় মন লাগান এ দুজন। যদিও বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং করতে পারেননি তারা। এরপরও এ দুজনেই রক্ষা পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পঞ্চম উইকেটে ৭৯ বলে ৭৯ রানের জুটি গড়ে দলকে একশ পেরিয়ে দেন ক্লাসেন ও মিলার।
ইনিংসের সর্বোচ্চ রান করা ক্লাসেনকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন তাসকিন। ডানহাতি প্রোটিয়া এই ব্যাটসম্যান ৪৪ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৬ রান করেন। ৩৮ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২৯ রান করেন মিলার। শুরুতে উইকেটে গিয়েই ঝড় তোলা কুইন্টন ডি কক ১১ বলে একটি চার ও ২টি ছক্কায় করেন ১৮ রান। বাকিদের কেউ ৫ রানের বেশি করতে পারেননি।
অষ্টম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা তানজিম ৪ ওভারে ১৮ রানে নেন ৩টি উইকেট, যা তার ক্যারিয়ার সেরা। দুর্দান্ত বোলিং করা তাসকিন ৪ ওভারে ১৯ রানে ২টি উইকেট পান। রিশাদের শিকার একটি উইকেট। মুস্তাফিজ উইকেট না পেলেও কৃপণ বোলিং করেন, ৪ ওভারে তার খরচা ১৮ রান। শেষ ওভারে মাত্র ৪ রান দেন তিনি।