বিসিবি থেকে সরে গেলেন জালাল, পদত্যাগে রাজি নন ববি
আওয়ামী লিগ সরকারের পদত্যাগের পর থেকে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশ। প্রায় সবখানেই আসছে পরিবর্তন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও (বিসিবি) আসতে যাচ্ছে বড় পরিবর্তন, যা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। বিসিবির পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন জালাল ইউনুস। দীর্ঘদিন মিডিয়া কমিটির প্রধানের দায়িত্ব পালন করা এই পরিচালক সর্বশেষ ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের পদ সামলে আসছিলেন।
পরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর অর্থ জালাল ইউনুস আর বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধানের দায়িত্বেও নেই। বিভিন্ন পদে বিসিবিতে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে আসা এই সংগঠক নিজেই তার পদত্যাগের বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, 'ক্রিকেটের স্বার্থ ও নতুন কাউকে আসার সুযোগ করে দিতে আমার এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত।'
জালাল ইউনুস ও বিসিবির আরেক পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) মনোনীত কাউন্সিলর। এই সুবাদেই এ দুজন বিসিবির পরিচালক হয়েছিলেন। কিন্তু তাদের দুজনকেই এনএসসির কাউন্সিলর ও বিসিবির পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। জালাল ইউনুস সরে দাঁড়ালেও পদত্যাগে রাজি নন বলে টিবিএসকে জানিয়েছেন ববি।
এনএসসি থেকে আজ এমন নির্দেশনা পাওয়ার পরই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন জালাল ইউনুস। আজ সোমবার সকালে তাকে এনএসসিতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান এনএসসির সচিব আমিনুল ইসলাম। কারণ জানতে চাইলে তাকে এনএসসির কাউন্সিলর ও বিসিবি পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। জালাল ইউনুস এনএসসিতে না গিয়ে সচিব বরাবর পদত্যাগপত্র লিখে ইমেইল করেন।
১৯৯৭ সাল থেকে বিসিবিতে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন জালাল ইউনুস। মাঝে ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিসিবির কোনো দায়িত্বে ছিলেন না তিনি। অভিজ্ঞ এই সংগঠক দীর্ঘদিন মিডিয়া কমিটির প্রধান ছিলেন। ২০২১ সালে আকরাম খান পদত্যাগ করলে নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বোর্ডে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পান তিনি।
জালাল ইউনুসের চেয়েও দীর্ঘ সাজ্জাদুল আলমের সংগঠক ক্যারিয়ার। তরুণ বয়স থেকেই ক্রিকেট পরিচালনার কাজ করে আসা এই সংগঠক বর্তমানে বিসিবি পরিচালক ও টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধানের দায়িত্বে আছেন। ১৯৮৩ সালে বিসিবিতে আসেন সাজ্জাদুল আলম, টানা কাজ করেন ১৯৯১ সাল পর্যন্ত। ২০০৭ সাল পর্যন্ত বোর্ডে ছিলেন না তিনি। এরপর থেকে বিসিবিতে পরিচালক পদে আছেন তিনি।
জালাল ইউনুসের মতো আজ সকালে তিনিও ফোন পান এনএসসি সচিবের, তাকেও যাওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু তিনিও উদ্দেশ্য জানতে চান। সচিবের নির্দেশনা পাওয়ার পর সাজ্জাদুল আলম তার অবস্থান তাকে জানান। টিবিএসকে বিসিবির এই পরিচালক বলেন, 'সকাল বেলা এনএসসির সচিব আমাকে ফোন করেছিলেন। চা খেতে যেতে বলেছিলেন। তো আমি বলেছি, নিশ্চয়ই জরুরি কোনো বিষয় আছে, সেটা আমাকে বলেন।'
'তো উনি জানালেন 'আপনাদের কাউন্সিলর ও বিসিবির পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগের জন্য'। আমি বলেছি, আপনারা আমাকে কাউন্সিলর বানিয়েছেন। সেই সূত্রে আমি বিসিবির পরিচালক। তো উনাকে বলেছি, আপনাদের যদি কোনো সিদ্ধান্ত থাকে, আপনারাই আমাকে জানিয়ে দেবেন। এবার তারা যেটা করবে, সেটাই।' যোগ করেন সাজ্জাদুল আলম।