প্রথম টেস্ট শেষে সাকিবের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত, জানালেন বিসিবি সভাপতি
হত্যা মামলায় আসামী করা করা হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। এই মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে জাতীয় দল থেকে বাদ দিয়ে দেশে ফেরাতে বিসিবিতে আইনি নোটিশও পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। মামলার ব্যাপারে অবগত থাকলেও আইনি নোটিশ পাননি বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। বিসিবি প্রধান এও জানিয়েছেন, রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান প্রথম টেস্টের পরে সাকিবের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শনিবার বিসিবি কার্যালয়ে বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ফারুক আহমেদ। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী চলা এই বৈঠকে অনেক বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। তবে সব ছাপিয়ে সংবাদমাধ্যমের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলো সাকিবের প্রসঙ্গ। অভিজ্ঞ এই অলরউন্ডারের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি বিসিবি সভাপতি। তবে সাকিবের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেটা জানিয়েছেন তিনি।
সাংবাদিকদের ফারুক আহমেদ বলেন, 'একটা মামলা হয়েছে, লিগ্যাল নোটিশটা আমরা পাইনি এখনও। ওটার ব্যাপারে বলতে পারব না। মামলাটার এফআইআর হয়েছে, এফআইআরের পরে তদন্ত হবে। তারপর একটা দিকে যাবে মামলাটা। এই মুহূর্তে যেহেতু টেস্ট ম্যাচ চলছে, কালকে টেস্টের পঞ্চম দিন। এই মুহূর্তে আমরা কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার মতো চিন্তা করিনি। মনে করেছি আমরা কালকের ম্যাচ শেষ হলে বসে একটা সিদ্ধান্ত নেব।'
আগামী ৩০ আগস্ট সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে। এর আগেই সাকিবের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইঙ্গিত বিসিবি সভাপতির, 'এফআইআর যখন হয়, তার বিরুদ্ধে কিন্তু চার্জ গঠন হয়নি। এর আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব কঠিন। কিছুদিন আগে বিশাল গণ্ডগোল হয়েছে, অনেক প্রাণ নষ্ট হয়েছে। সহমর্মিতা এখনও আছে আমাদের, আমরা কিন্তু ভুলে যাইনি। এই মুহূর্তে টেস্ট ম্যাচ চলছে। বিসিবির সঙ্গে সাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক খেলোয়াড় এবং এমপ্লয়ি বলতে পারেন। কালকের দিনের পর দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারব। সাকিবের এখন খেলতে বাধা নেই। ম্যাচের মাঝখানে উইথড্র করতে পারব না।'
শনিবার আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিনুর রহমানের পক্ষ থেকে বিসিবিতে আইনি নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সজীব মাহমুদ আলম। সাংবাদিকদের তিনি জানান, সাকিবের বিরুদ্ধে যেহেতু ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে, তাই তিনি আইসিসির আইন অনুযায়ী জাতীয় ক্রিকেট দলে থাকতে পারেন না। তাকে ক্রিকেট দল থেকে অবিলম্বে অপসারণ করা এবং তদন্তের স্বার্থে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গার্মেন্টসকর্মী রুবেলকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে ক্রিকেটার সাকিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় দায়ের হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আদাবর থানায় ২২ আগস্ট রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সাকিবকে ২৮ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৬ জন আছেন। এ ছাড়া অজ্ঞাত ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।