ক্যারিয়ার সেরা র্যাঙ্কিংয়ে মুশফিক, লম্বা লাফ হাসানের
পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ে ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের খেলা ঝলমলে ইনিংসের সুবাদেই জয়ের পথ সুগম হয় বাংলাদেশের। ইতিহাসগড়া জয়ে বড় ইনিংস খেলার প্রভাব পড়েছে র্যাঙ্কিংয়ে। টেস্ট ব্যাটসম্যানদিরে র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ার সেরা অবস্থানে উঠেছেন তিনি। বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে বড় উন্নতি হয়েছে পেসার হাসান মাহমুদের।
গত সপ্তাহের পারফরম্যান্স বিবেচনায় র্যাঙ্কিং হালনাগাদ করেছে আইসিসি। যা বরাবরের মতো বুধবার প্রকাশ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে সাত ধাপ এগিয়ে ১৭তম স্থানে উঠে এসেছেন মুশফিক, এটাই তার ক্যারিয়ার সেরা। এর আগে ২০২২ ও ২০২৩ সালেও এই অবস্থানে উঠেছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
২০০১ সাল থেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলে আসা বাংলাদেশ দলটির বিপক্ষে প্রথমবারের মতো জিতেছে। ১৪ ম্যাচে এটা তাদের প্রথম জয়। ১০ উইকেটের জয়ের ম্যাচে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৪১ বলে ২২টি চার ও একটি ছক্কায় ১৯১ রানের দুর্বার ইনিংস খেলেন মুশফিক। এই ইনিংস খেলার পথে সপ্তম উইকেটে দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন তিনি।
এমন ব্যাটিংয়ে র্যাঙ্কিংয়ে আগানো মুশফিকের রেটিং পয়েন্ট এখন ৬৮৪, এটাও তার ক্যারিয়ার সেরা। প্রথম ইনিংসে ৫৬ রানের ইনিংস খেলা লিটন কুমার দাসেরও উন্নতি হয়েছে, ২৭তম স্থানে উঠে এসেছেন তিনি। শেষ দিকে বোলারদের নিয়ে লড়াই করা মেহেদী হাসান মিরাজ এগিয়েছেন তিন ধাপ। ৭৭ রান করা ডানহাতি এই অলরাউন্ডার আছেন ৮৫ নম্বরে।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে লম্বা লাফ দিয়েছেন হাসান। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে তিন উইকেট নেওয়া ডানহাতি এই তরুণ পেসার ২৩ ধাপ এগিয়ে আছেন ৭৪ নম্বরে। হাসানের মতো তিন উইকেট শিকার করা বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম এগিয়েছেন ৯ ধাপ, ৬৪ নম্বরে আছেন তিনি। বল হাতেও অবদান রাখা মিরাজ এক ধাপ এগিয়েছেন। ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়া ডানহাতি এই স্পিনার আছেন ২৩ নম্বরে। ব্যাটে-বলে আলো ছড়ানোয় অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ এগিয়ে দশম স্থানে আছেন তিনি।