‘মাঠ করতে তো নৌকা বা স্কয়ার শেপের দরকার নাই’
দুদিন আগে বোর্ড সভার পর বিসিবি সভাপতি ঘোষণা দেন, শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম 'দ্য বোট'- এর দরপত্র বাতিল করা হয়েছে। এতো বড় বাজেটের কাজ এই মুহূর্তে চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। দেশের ক্রিকেট প্রধান সেদিনই জানান, পূর্বাচলে স্টেডিয়ামের জন্য বরাদ্দ করা জমি পরিদর্শনে যাবেন। বিসিবির কয়েকজন পরিচালক ও কর্মকর্তাদের নিয়ে আজ শনিবার সেখানে যান ফারুক।
সাড়ে ৩৭ একর জমি ঘুরে ঘুরে দেখার পর বিসিবি সভাপতি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন স্টেডিয়াম ও মাঠ তৈরির কাজের অগ্রগতি, ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে। মাঠটির আকৃতির পরিবর্তনের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি জানান, ক্রিকেট মাঠ করতে নৌকা বা চার কোণা আকৃতির দরকার নেই। ক্রিকেট মাঠ হয় ডিম্বাকৃতির।
'দ্য বোট' নাম শুনলেই স্টেডিয়ামটির নকশা সম্পর্কে ধারণা করা সম্ভব। কয়েক হাজার কোটি টাকার বাজেটের স্টেডিয়ামটির নকশা করা হয় নৌকা আকৃতির। নামকরণ হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম অনুসারে। কিন্তু সরকার বদলের পর পরিবর্তনের জোয়ারে থাকছে এই স্টেডিয়ামটিও। নাম, নকশাসহ স্টেডিয়ামটির নির্মাণ কাজের পরিকল্পনায় আরও অনেক পরিবর্তন আসবে।
বিসিবি পরিচালক নাজমূল আবেদীন ফাহিম, আকরাম খান, খালেদ মাহমুদ সুজন, ইফতেখার আহমেদ মিঠু, ফাহিম সিনহা, কাজী ইনাম, মঞ্জুরুল ইসলাম ও বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে জমি পরিদর্শন শেষে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দুটি মাঠ তৈরির পরিকল্পনার কথা জানান ফারুক। তবে শুরুতে একটি মাঠ বানানোর কথা বলেছেন বিসিবি।
মাঠের নকশা নৌকা আকৃতির, এটাতে কোনো বদল পরিবর্তন আসবে কিনা জানতে চাইলে ফারুক বলেন, 'মাঠ করতে তো নৌকা বা স্কয়ার শেপের দরকার নাই। মাঠ করতে ওভাল (ডিম্বাকৃতি) দরকার। মাঠ করতে যা দরকার, তা করব।' নাম পরিবর্তনের আভাসও মিললো বিসিবি সভাপতির বক্তব্যে, 'এটা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ক্রিকেট বোর্ড মিলে সিদ্ধান্ত নেবে।'
ধাপে ধাপে এগোনোর কথা জানিয়ে ফারুক বলেন, 'আমরা ধাপে ধাপে যাব। এখানে দুটি মাঠ হওয়ার কথা ছিল, বড় স্টেডিয়াম হওয়ার কথা ছিল। এই মুহূর্তে আমরা এতো বাজেট অ্যাফোর্ড করতে পারব না। সে জন্য প্রথমে একটা মাঠ দিয়ে শুরু করব, তারপর পাশের মাঠটা করার চেষ্টা করব। দ্রুতই মাঠের কাজ শুরু করব। এখন আমাদের অনেক ধরনের খেলা, আপনারা সবাই জানেন। বয়সভিত্তিক থেকে শুরু করে নারী ক্রিকেট, ক্লাব ক্রিকেট; অনেক খেলা। এখন সে জন্য মাঠটা তৈরি করব।'
দেশের বিভিন্ন মাঠের উন্নয়নের পরিকল্পনা সাজিয়েছে বিসিবি, এই মাঠটিও সেটার অংশ হবে। বিসিবি সভাপতি বলেন, 'দায়িত্ব নেওয়ার পর আমাদের প্রধান ইচ্ছা ছিল মাঠগুলোর উন্নতি। নতুন মাঠও যদি করতে পারি, সেটা নিয়েও চিন্তা করছিলাম। যেহেতু এটা আমাদের নিজস্ব জায়গা, এটা নিয়ে একটা পরিকল্পনা ছিল। এখন এটাকে আমরা যতো দ্রুত মাঠের কাঠামোতে রূপ দিতে পারি, সে চেষ্টা করব। আমাদের যে মাঠগুলোর উন্নতি করার কথা, সেগুলোর সঙ্গে এটা যোগ হবে।'