রেটিং পয়েন্ট বাড়ল বাংলাদেশের, ইতিহাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে পাকিস্তান
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ নেওয়ার সিরিজেই ইতিহাস লিখেছে বাংলাদেশ। দুই টেস্টেই ব্যাটে-বলে শাসন করে বাংলাদেশ সিরিজ জেতে ২-০ ব্যবধানে। ঘরের মাঠে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের তেতো স্বাদ দেয় সফরকারীরা। এই সাফল্যে আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে বাংলাদেশের।
পাকিস্তান সফরের আগে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট ছিল ৫৩। ১৩ রেটিং পয়েন্ট বেড়ে সেটা এখন ৬৬। তবে র্যাঙ্কিংয়ে কোনো পরিবর্তন আসেনি, নয় নম্বরে আছে বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশ হওয়া পাকিস্তান হারিয়েছে ১৩ রেটিং পয়েন্ট। দুই ধাপ পিছিয়ে আটে নেমে গেছে তারা। এক ধাপ করে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা এখন ষষ্ঠ স্থানে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ আছে সপ্তম স্থানে।
র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তানের এটাই সর্বনিম্ন অবস্থান। র্যাঙ্কিংয়ের চেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে রেটিং পয়েন্টে। ঘরের মাঠে দুঃস্বপ্নের সিরিজ পার করা দলটির রেটিং পয়েন্ট এখন ৭৬। ২০০৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে র্যাঙ্কিং প্রবর্তনের পর এটা পাকিস্তানের সর্বনিম্ন পয়েন্ট। ১৯৬৫ সালে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা পাওয়ার পর থেকেও এটিই তাদের সর্বনিম্ন রেটিং।
১২৪ রেটিং নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। ৪ রেটিং কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ভারত। এরপর তৃতীয় থেকে পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে আছে ইংল্যান্ড (১০৮ রেটিং), দক্ষিণ আফ্রিকা (১০৪ রেটিং) ও নিউজিল্যান্ড (৯৬ রেটিং)। বাংলাদেশের নিচে দশম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত যথাক্রমে আছে আয়ারল্যান্ড (২৬ রেটিং), জিম্বাবুয়ে (৪ রেটিং) ও আফগানিস্তান (শূন্য রেটিং)।
রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে, পাশাপাশি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলেও বড় লাফ দিয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডকে টপকে চারে উঠে গেছে তারা। ৬ ম্যাচে ৩টি করে জয়-হারে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৩৩ পয়েন্ট, তাদের শতাংশ পয়েন্ট ৪৫.৮৩। ৭ ম্যাচে ২ জয়ে ১৯.০৫ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে ৮ নম্বরে পাকিস্তান। ৬৮.৫২ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ভারত।