জিততে টেস্টের ইতিহাস নতুন করে লিখতে হবে বাংলাদেশকে
প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানের লিড পাওয়ার পরও বাংলাদেশকে ফলোঅন করায়নি ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে ঘরের মাঠের দলটি। শুরুটা ভালো না হলেও শুভমান গিল ও ঋষভ পন্তের ব্যাটে এই ইনিংসে দাপট দেখিয়েছে স্বাগতিকরা। এ দুজনের সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ২৮৭ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছে ভারত। বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৫১৫ রান। যে রান পাড়ি দিতে টেস্টের ইতিহাস নতুন করে লিখতে হবে নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে।
টেস্টের ১৪৭ বছরের দীর্ঘ ইতিহাসে এতো রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই কোনো দলের। ৪০০'র বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডই কেবল ৪টি। এই তালিকায় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার কীর্তিটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে। ২০০৩ সালে অ্যান্টিগাতে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৪১৮ রান টপকে জেতে ব্রায়ান লাড়ার দল। টেস্টের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ রান তারা।
সফলতম রান তাড়ার তালিকায় দুই নম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৮ সালে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১৪ রান করে জেতে প্রোটিয়ারা। টেস্ট ইতিহাসের তৃতীয় সফল রান তাড়া ভারতের, যা আজ থেকে ৪৮ বছর আগের। ১৯৭৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে পোর্ট অব স্পেনে ৪০৩ রান তাড়া করে জেতে বিসান সিং বেদির দল, ৪০৬ রান তোলে তারা। ৪০০'র বেশি রান তাড়া করে জেতা বাকি দলটি অস্ট্রেলিয়া। ৭৬ বছর আগে (১৯৪৮ সালে) ইংল্যান্ড সফরে লিডসে ৪০৪ রান তাড়া করে জেতে অজিরা।
২৪ বছরে ১৪৪ টেস্টে (চলতি টেস্ট বাদে) বাংলাদেশ জিতেছে ২১টিতে। এর মধ্যে সাতটি ম্যাচে রান তাড়া করে জিতেছে দলটি। কিন্তু এখন পর্যন্ত ৩০০ রানের বেশি রান তাড়া করে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তাদের সফলতম রান তাড়া ২১৭। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে এই রান তুলে জেতে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ, তাদের লক্ষ্য ছিল ২১৫ রান।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় সফলতম রান তাড়া ১৯১। নিজেদের শততম টেস্টে ২০১৭ সালে কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঐতিহাসিক এই জয় পায় তারা। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ রান তাড়ায় সফল হয় ২০১৪ সালে। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১০১ রানের লক্ষ্যে জিম্বাবুয়েকে উইকেটে হারায় মুশফিকুর রহিমের দল। সফল হওয়া বাংলাদেশের বাকি রান তাড়াগুলো হচ্ছে ১৮৫/৪, ১৩৮/৩, ৪২/২ ও ৩০/০।