জন্মদিনে নিষিদ্ধ হলেন জয়াবিক্রমা
নিজের জন্মদিনটা যে কারও কাছেই বিশেষ। বেশিরভাগ মানুষই জীবনের বিশেষ দিনটা উদযাপন করেন, পরিবার, বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে পান শুভেচ্ছাবার্তা। প্রাভিন জয়াবিক্রমাও নিশ্চয়ই শুভ কামনা বা শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছেন। কিন্তু শ্রীলঙ্কার ২৬ বছর বয়সী এই বাঁহাতি স্পিনার জন্মদিনে আরও একটি বার্তা পেয়েছেন, যা তার জন্য দুঃসংবাদ।
এক বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন জয়াবিক্রমা। আইসিসির দুর্নীতিবোরোধী একাধিক ধারা ভঙ্গ করায় তাকে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লঙ্কান এই ক্রিকেটারের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটে সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও তা গোপন করেছেন জয়াবিক্রমা। আরেকজন খেলোয়াড়কে প্রস্তাব দেওয়ার বিবরণ দিতেও ব্যর্থ হন তিনি। এ ছাড়া ফিক্সিং-বিষয়ক কথোপকথন মুছে ফেলার অভিযোগও ছিল জয়াবিক্রমার বিরুদ্ধে।
এক বছরের নিষেধাজ্ঞা হলেও এর মধ্যে শেষ ছয় মাস স্থগিত। অর্থাৎ, নিষেধাজ্ঞার পুরো মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মাঠে ফেরার সুযোগ পাবেন তিনি। এর জন্য অবশ্য আইসিসির নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে চলতে হবে তাকে। নিষেধাজ্ঞার প্রথম ৬ মাসে নতুন করে আইসিসির নীতিমালা বিরোধী কিছু না করলে আগামী বছরের ১ এপ্রিল থেকে ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন তরুণ এই স্পিনার।
আইসিসি জয়াবিক্রমার বিপক্ষে দুর্নীতির অভিযোগ আনে গত আগস্টে। অভিযোগের জবাব দেওয়ার তাকে ১৪ দিনের সময় দেওয়া হয়। ৬ থেকে ২০ আগস্টের মধ্যে তাকে জবাব দিতে বলা হয়। শুরুতে অস্বীকার করলেও পরে অভিযোগ মেনে নেন জয়াবিক্রমা।
২.৪.৭ ধারা ভাঙার কথা স্বীকার করেন তিনি;যেখানে বলা হয়েছে, ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে দ্রুততার সাথে তা আইসিসিকে জানাতে ব্যর্থ হওয়া, তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় নথিপত্র গোপন, টেম্পারিং ও ধ্বংস করা। আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী বিভাগের অনুসন্ধানে ব্যাঘাত ঘটানো ও বাধা সৃষ্টি করেছেন জয়াবিক্রমা।
২০২১ সালের এপ্রিলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় জায়াবিক্রমার। এরপর থেকে লঙ্কানদের হয়ে ৫টি করে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বশেষ ২০২২ সালের জুনে ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি খেলেন জয়াবিক্রমা। বাঁহাতি এই স্পিনার সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০২২ সালের মে মাসে, বাংলাদেশের বিপক্ষে।