হতাশার ব্যাটিংয়ে অল্পতেই অলআউট বাংলাদেশ
প্রথম ওভারেই উইকেট হারানোর হতাশা দ্বিতীয় ওভারে আরও বাড়লো। নিয়মিত ধারায় উইকেট হারিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ। মাঝে আশা জাগে মেহেদী হাসান মিরাজ ও রিশাদ হোসেনের ব্যাটে। কিন্তু এই জুটিও বড় হয়নি। এরপর বোলারদের নিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়ে গেলেও দলের সংগ্রহ বড় করতে পারেননি প্রায় ১৫ মাস পরে টি-টোয়েন্টি দলে ফেরা মিরাজ।
রোববার গোয়ালিয়রে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২০ ওভারও ব্যাটিং করতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৯.৫ ওভারে ১২৭ রানে অলআউট হয়েছে তারা। সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন দীর্ঘদিন পর সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে ফেরা মিরাজ। স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের মধ্যে থেকে কেবল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত কিছুটা লড়েন। হতাশার ব্যাটিংয়ে বাকিরা যোগ দেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।
প্রথম ওভারেই ভারতের পেসার আর্শদীপ সিংয়ের বলে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন ২ বলে ৪ রান করা লিটন কুমার দাস। ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি প্রায় দুই বছর পর দলে ফেরা পারভেজ হোসেন ইমন। তৃতীয় ওভারে আর্শদীপের বলেই আউট হন ৯ বলে ৮ রান করা বাঁহাতি এই ওপেনার।
তৃতীয় উইকেটে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনে নামা অধিনায়ক শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়। এ দুজন ২৬ রানের জুটি গড়েন। রান বাড়াতে গিয়ে শট খেলার চেষ্টা করা হৃদয় লং অনে ধরা পড়েন ১৮ বলে ২টি চারে ১২ রান করা হৃদয়। ৪০ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এমন দুঃসময়ে উইকেটে গিয়েই ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দ্বিতীয় বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ দেন ২ বলে ১ রান করা অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।
জাকের আলী বড় ছক্কায় আশা জাগান, কিন্তু তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ভারতের লেগ স্পিনার বরুন চক্রবর্তীর বল বুঝতে না পেরে বোল্ড হন ৬ বলে একটি ছক্কায় ৮ রান করা জাকের। এর মাঝেও টিকে থাকনে শান্ত। পরের উইকেটে মিরাজের সঙ্গে ১৮ রানের জুটি গড়েন তিনি। ওয়াশিংটন সুন্দরের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ২৫ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২৭ রান করেন শান্ত।
৭৫ রানে ছয় উইকেট হারানো দলে আশা ফেরান মিরাজ ও রিশাদ। দুজনই টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেন। সপ্তম উইকেটে ১১ বলে ১৮ রান যোগ করেন তারা। বড় শট খেলতে গিয়ে আকাশে বল তোলা রিশাদ ৫ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১১ রান করেন। বাকি পথ বোলারদের নিয়ে লড়েন মিরাজ। ডানহাতি এই অলরাউন্ডার ৩২ বলে ৩টি চারে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন। তাসকিন আহমেদ ১৩ বলে ১২ রান করেন। ভারতের আর্শদীপ ও বরুন ৩টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান হার্দিক, মায়াঙ্ক ও ওয়াশিংটন।