শান্ত বললেন, ‘আমাদের আরও ভালো পরিকল্পনা দরকার’
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে সামান্যতম লড়াইও করতে পারেনি বাংলাদেশ। হতশ্রী ব্যাটিং-বোলিংয়ে বড় হার মেনে নেয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। যে উইকেটে ব্যাটে-বলে দুই বিভাগেই দাপট দেখায় ভারত, সেই উইকেটেই বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন। এমন হারের পর ভালো পরিকল্পনার সন্ধানে বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত।
সিরিজের পরের টি-টোয়েন্টিতে আগামী ৯ অক্টোর দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি ১২ অক্টোবর হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে খেলবে তারা। এই দুই ম্যাচে ভালো করতে আরও ভালো পরিকল্পনা দরকার বলে মনে করেন শান্ত। প্রথম ম্যাচের হারের কারণ হিসেবে পরোক্ষভাবে যেন পরিকল্পনার ঘাটতির কথাই বলতে চাইলেন তিনি।
দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া হারের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভালো শুরু করতে না পারার হতাশার কথা জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক। শান্ত বলেন, 'আমরা ভালো শুরু করতে পারিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম ছয় ওভার খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু আমাদের শুরু ভালো হয়নি। পরিকল্পনা ছিল ইতিবাচক ক্রিকেট খেলা এবং প্রথম বল থেকেই ইন্টেন্ট নিয়ে খেলা। কিন্তু মানিয়ে নিতে কিছু ওভার খরচ হয় আমাদের '
পরের ম্যাচগুলোর জন্য আরও ভালো পরিকল্পনা লাগবে জানিয়ে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান বলেন, 'পরবর্তী ম্যাচগুলোর জন্য আমাদের আরও ভালো পরিকল্পনা দরকার। এই ম্যাচে উইকেট হাতে থাকলে আমরা আরও ১০-১৫ রান করতে পারতাম। বোলিংয়ের ক্ষেত্রে আমাদের স্কোরকার্ডে পর্যাপ্ত রান ছিল না। এমন উইকেট বোলারদের জন্য খুবই কঠিন। আমাদের আরও রান দরকার ছিল। তবে আমার মনে হয় রিশাদ ও মুস্তাফিজ ভালো বোরিং করেছে।'
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশের বেশিরভাগ ব্যাটসম্যান ব্যর্থ হন। প্রায় ১৫ মাস পর টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন শান্ত। ১৯.৫ ওভারে ১২৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে স্যামসন, সূর্যকুমার, হার্দিকদের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ১১.৫ ওভারেই ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় ভারত। ৪৯ বল হাতে রেখে জেতে স্বাগতিকরা, যা টি-টোয়েন্টি বল হাতে রেখে জেতার হিসেবে তাদের চতুর্থ বড় জয়।