টানা তিন হারে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় বাংলাদেশের মেয়েদের
বড় স্বপ্ন নিয়ে এবারের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। স্বপ্নের পথে শুরুটা চাওয়া মতোই হয় নিগার সুলতানা জ্যোতির দলের। প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে হারায় তারা, শেষ হয় বিশ্বকাপে ১০ বছর ধরে জয় না পাওয়ার অপেক্ষা। কিন্তু এরপর সেই পুরনো গল্পই ফিরে এসেছে, যে গল্পের সবটাজুড়ে কেবলই হতাশা। ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলো বাংলাদেশ।
শনিবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭ উইকেটর বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। চার ম্যাচে তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে 'বি' গ্রুপের শীর্ষ দল প্রোটিয়ারা। তিন ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই ম্যাচের দুটিতেই জেতা ইংল্যান্ড তিন নম্বর দল। বাংলাদেশ ৪ ম্যাচে এক জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বর দল হিসেবে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করলো।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মেয়েদের বলার মতো তেমন সাফল্য নেই। তবু প্রথম আসরটি তাদের জন্য মনে রাখার মতো। নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপের ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে দুটি ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ, হারায় শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডকে। এরপর চারটি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে কোনো ম্যাচ জেতা হয়নি তাদের। এবার জয়খরা কাটালেও হতাশার পারফরম্যান্সে খালি হাতেই বিদায় নিতে হলো জ্যোতি-মারুফাদের।
টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। আগের তিন ম্যাচের মতো আজও বড় সংগ্রহ গড়া হয়নি তাদের। সোবহানা মোস্তারী ও অধিনায়ক জ্যোতির ৩০ ছাড়ানো ইনিংসে ৩ উইকেটে ১০৬ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ম্যাচসেরা তাজমিন ব্রিটস ও আনেকের বোসের দারুণ জুটি পর মারিজানে ক্যাপ ও ক্লয়ই টাইওনের ব্যাটে ১৬ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
লক্ষ্য তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন তাজমিন। ডানহাতি এই ব্যাটার ৪১ বলে ৫টি চারে ৪২ রান করেন। তার সঙ্গে জুটি বাধা আনেকে ২৫ বলে ২টি চারে করেন ২৫ রান। মারিজানে ১৩ ও ক্লয়ই ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুন ৪ ওভারে ১৯ রানে ২টি উইকেট নেন। ৩ ওভারে ২২ রানে একটি উইকেট পান রিতু মণি।
এর আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করা মোস্তারী। ডানহাতি এই ব্যাটার ৪৩ বলে ৪টি চারে ৩৮ রান করেন। জ্যোতি ৩৮ বলে ২টি চারে করেন ৩২ রান। সাথি রানীর ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার মারিজানে, ডার্কসেন ও এমলাবা একটি করে উইকেট নেন।