সিরিজ জেতার ভালো সুযোগ দেখছেন নতুন কোচ
প্রধান কোচ হিসেবে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে দল, দলের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি নিয়োগ পাওয়ার ব্যাপারটি নিয়েও কথা বলতে হলো ফিল সিমন্সকে। কবে প্রস্তাব পেলেন, এমন প্রশ্নে কিছুক্ষণ চুপ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান এই কোচ জানালেন, সপ্তাহ দেড়েক আগে। বেশি সময় নয়, দ্রুতই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাকে। বাংলাদেশে আসতে হয়েছে আরও দ্রুততার সাথে। নাম ঘোষণার পরদিনই বাংলাদেশে আসেন সিমন্স।
প্রধান কোচের পদে প্রস্তাব পাওয়া, চাকরি চূড়ান্ত হওয়া, বাংলাদেশে আসা; সব কিছুই কয়েক দিনের মধ্যে হয়েছে। এসেই দলের সঙ্গে যোগ দেওয়া সিমন্স বাংলাদেশ দল, দলের ক্রিকেটারদের দেখছেন মাত্র কদিন ধরে। এর মধ্যেই দলের ওপর আস্থা জন্মে গেছে তার। এ কারণেই সম্ভাবনার প্রশ্নে তিনি জানালেন, এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের ভালো সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশের।
দক্ষিণ আফ্রিকা ভালো ছন্দে নেই, উপমহাদেশের তাদের রেকর্ড এরচেয়েও নাজুক। মূলত এটাই আশা জাগাচ্ছে বাংলাদেশের নতুন কোচকে। ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই অঞ্চলে কোনো টেস্ট জিততে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। সর্বশেষ ২০১৪ সালের জুলাইয়ে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাওয়া ১৫৩ রানের জয়টি উপমহাদেশে তাদের সর্বশেষ সাফল্য। এরপর থেকে খেলা ১৪ টেস্টের ১০টিতেই হারে প্রোটিয়ারা, ড্র হয় ৪টি ম্যাচ।
সিরিজ জয়ের ভালো সুযোগের কথা জানিয়ে সিমন্স বলেন, 'এটা অবশ্যই ভালো সুযোগ। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ ভালো দল। তাই তাদের (বাংলাদেশ) জন্য এটি সিরিজ জেতার খুব ভালো সুযোগ। দক্ষিণ আফ্রিকার মাথায় সেই ভারটা (উপমহাদেশে দশ বছর ধরে না জেতার) আছে। তবে তারা দৃঢ়চেতা দল। তারা এট (পারফরম্যান্স) বদলাতে কঠিন পরিশ্রম করবে।'
সর্বশেষ ২০১৫ সালে বাংলাদেশে টেস্ট খেলতে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা, দুই ম্যাচের সিরিজটি ড্র হয়। মূলত বৃষ্টির কারণে ম্যাচ দুটিতে ফল আসেনি। উপমহাদেশে রেকর্ড ভালো না থাকলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে সব সময়ই শাসন করেছে প্রোটিয়ারা। ২০০২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত খেলা ১৪ টেস্টের ১২টিতেই জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা, বাকি দুটি ম্যাচ ড্র হয়।