অধিনায়কত্ব নিতে পুরোপুরি প্রস্তুত তাইজুল
কয়েক মাসেই হাঁপিয়ে ওঠা নাজমুল হোসেন শান্ত অধিনায়কত্ব ছাড়তে চান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষে তিন ফরম্যাট থেকেই সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা তার। যা ইতোমধ্যে বিসিবিকে জানিয়েছেন তিনি। দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা নতুন অধিনায়ক বাছাইয়ের কাজও শুরু করে দিয়েছে। টেস্ট এবং ওয়ানডের জন্য ভাবা হচ্ছে মেহেদী হাসান মিরাজকে। টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বভার পেতে পারেন তাওহিদ হৃদয়।
কিন্তু এই আলোচনায় আরেকটি নাম সমানে চলে এলো; তাইজুল ইসলাম। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ বাঁহাতি এই স্পিনার কোনো পর্যায়ে নেতৃত্ব না দিলেও অধিনায়ক হতে পুরোপুরি প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন, নেতৃত্ব দিতে তৈরি আছেন আছেন বলে বিশ্বাস তার। চট্টগ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগেরদিন অধিনায়কত্বের প্রস্তুতির প্রশ্নে ১০ বছরে দেশের হয়ে ৪৮ টেস্ট খেলা তাইজুল তার নিজের ভাবনার কথা জানান।
শান্ত অধিনায়কত্ব ছাড়তে চান, নতুন অধিনায়ক এখনও চূড়ান্ত নয়; সময় বিবেচনায় অনেক নামই আসতে। সেই আলোচনা থেকেই নেতৃত্বে প্রশ্নে এলো তাইজুলের নাম। অধিনায়কত্ব দিলে প্রস্তুত কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে শুরুতেই নিজের অভিজ্ঞতার কথা মনে করালেন তিনি, এরপর বললেন পুরোপুরি প্রস্তুত থাকার কথা, 'যেহেতু ১০ বছর ধরে খেলছি, পুরোটাই তৈরি।'
এর আগে তাইজুলকে প্রশ্ন করা হয় শান্তর অধিনায়কত্ব ছাড়ার বিষয়ে। অভিজ্ঞ এই স্পিনার এ নিয়ে কথা বাড়াননি। বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না জানিয়ে তিনি বলেন, 'আসলে এ বিষয়ে আমি কিছু শুনি নাই। এটা আমার পার্টও না। এই বিষয়ে আমি সঠিকটা জানি না।' টিম মিটিংয়ে শান্তর বক্তব্য-অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তাইজুল আবারও বলেন, 'আমি জানিই না ভাই এ বিষয়ে।'
মিরপুরে ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম টেস্টে ভরাডুবি হয়েছে বাংলাদেশের। চিরচেনা আঙিনায় সামান্যতম লড়াইও করতে পারেনি স্বাগতিকরা, ম্যাচ হারে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট জিতে সমতায় সিরিজ করার লক্ষ্য বাংলাদেশের। এর আগে অধিনায়কত্বের আলোচনায় দলে কিছুটা অস্থিরতা, যদিও তাইজুল এসব নিয়ে ভাবছেন না।
তার ভাষায়, 'এটা টিম গেম। দল কীভাবে ভালো থাকবে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। কারও কারও মধ্যে প্রভাব পড়তে পারে। আবার কেউ কেউ নির্ভার থেকে নিজের কাজটা করে যেতে পারে। আমি সব সময় নির্ভার থাকার চেষ্টা করি। নিজের কাজটা করার চেষ্টা করি। তবে এটা যখন দলের মধ্যে ঘটে, জানি না কে কোন হিসেবে নেয়, সবার মানসিকতা এক রকম না। ম্যানেজমেন্ট বা বোর্ডের মিটিংয়ে আমরা তো থাকি না।'
'আর আপনি যে প্রশ্ন করছেন, এটা আসলে অনেক গভীর একটা প্রশ্ন। এটার উত্তর আসলে আমার কাছে নেই, এটাই সত্যি। কারণ যখন একটা ম্যানেজম্যান্ট মিটিং হয় বা বোর্ডের যখন মিটিং হয়, আমি বা খেলোয়াড়রা কিন্তু জড়িত থাকে না। অধিনায়ক কে হচ্ছে, কোচ কে হচ্ছে, এটা আমাদের অংশ নয়।' যোগ করেন তিনি।