৬ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট নিয়ে তাইজুলের আরেকটি ‘ফাইফার’
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে দাপট দেখায় দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা। টনি জি জর্জি ও ট্রিস্টান স্টাবস সেঞ্চুরি তুলে নেন, ৩০০ ছাড়িয়ে দিনের খেলা শেষ করে প্রোটিয়ারা। এর মাঝেও বাংলাদেশের যে বোলার সফরকারীদের বেগ দেন, তিনি তাইজুল ইসলাম। দক্ষিণ আফ্রিকার যাওয়া ২টি উইকেট নেন বাঁহাতি অভিজ্ঞ এই স্পিনার।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চলমান ম্যাচে দ্বিতীয় দিনেও বল হাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাইজুল। ছন্দময় ব্যাটিং করে চলা প্রোটিয়াদের হঠাৎই চেপে ধরেন তিনি। ৬ রানের ব্যবধানে তুলে নেন ৩টি উইকেট। তাতে তাইজুলের ঝুলিতে জমা পড়ে আরেকটি ফাইফার। কালকের মতো আজও দক্ষিণ আফ্রিকার যাওয়া সবগুলো উইকেটই নিয়েছেন তিনি।
টেস্টে এটা তাইজুলের ১৪তম ৫ উইকেট, যা বাংলাদেশের বোলারদের মধ্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ১৯ বার ৫ উইকেট নিয়ে সবার উপরে সাকিব আল হাসান। তৃতীয় স্থানে আরেক স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ, আট বছরের ক্যারিয়ারের ১০ বার ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
নাজমুল হোসেন শান্ত এই টেস্ট সিরিজের পর তিন ফরম্যাটেরই অধিনায়কত্ব ছাড়তে চান। এই ম্যাচের আগে তাইজুলকে অধিনায়কত্ব নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি প্রস্তুত কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে বাঁহাতি এই স্পিনার জানান, নেতৃত্ব দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত তিনি।
জাতীয় দলের জার্সিতে ১০ বছর ধরে খেলা তাইজুল চট্টগ্রামে নেতার মতোই ভূমিকা পালন করছেন। বাকি বোলাররা যেখানে উইকেট এনে দিতে পারছেন না, রান খরচা করে যাচ্ছেন; সেখানেই তিনি বাঁহাতে ভেল্কিতে পরীক্ষা নিচ্ছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের।
প্রথম দিনের দুই অপরাচিত ব্যাটসম্যান ডি জর্জি ও ডেভিড বেডিংহাম আজও অনেকটা পথ পাড়ি দেন। ৫৯ রান করা বেডিংহামকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন তাইজুল। ৫ রান পর তার শিকার ১৭৭ রান করা ডি জর্জিও। এরপর প্রতিপক্ষকে কোনো রান যোগ করতে না দিয়ে তিনি তুলে নেন কাইল ভেরেইনার উইকেট।
৩৮৬ রানে ২ উইকেট থেকে ৩৯১ রানে ৫ উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা হঠাৎ-ই চাপে পড়ে যায়। রায়ান রিকেলটন ও উইয়ান মুলডারের ব্যাটে এই চাপ আপাতত কাটিয়ে উঠেছে তারা। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ১১০ ওভারে ৫ উইকেটে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৪১৩ রান। রিকেলটন ১১ ও মুলডার ১২ রানে অপরাজিত আছেন।