হতশ্রী ব্যাটিংয়ে ইনিংস ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
হতাশার বিভিন্ন পর্যায় হয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যেন সব পর্যায় ছাড়িয়ে গেল। ভারত সফরে ভরাডুবির পর দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বাজেভাবে হারে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সমতায় সিরিজ শেষ করার লক্ষ্য ছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দলের। কিন্তু এই ম্যাচে আগের ব্যর্থতাও পেছনে পড়ে গেছে। প্রতিপক্ষ যে উইকেট রান উৎসব করেছে, সেই উইকেটেই হতশ্রী ব্যাটিং করে ইনিংস ব্যবধানে হেরে গেছে বাংলাদেশ।
তৃতীয় দিনেই হার মেনে নিয়েছে ঘরের মাঠের দলটি। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ইনিংস ও ২৭৩ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হয়ে আসা বাংলাদেশ ঘরের মাঠেও পেল তেতো এই স্বাদ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৭ উইকেটে হারে বাংলাদেশ।
চট্টগ্রাম টেস্টের দুই ইনিংসেই উল্টো পথে হেঁটেছেনে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা, কেশব মহারাজদের বোলিংয়ের সামনে মুমিনুল ইসলাম ছাড়া কোনো ব্যাটসম্যানই লড়াই করতে পারেননি। দুই ইনিংস মিলিয়েও একদিন সমান ব্যাটিং করতে পারেনি বাংলাদেশ। চরম হতাশার ব্যাটিং করা দলটি দুই ইনিংসে টিকতে পেরেছে ৮৯ ওভার। এক ইনিংসেই এর চেয়ে অনেক বেশি ওভার খেলে দক্ষিণ আফ্রিকা।
টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা তিন সেঞ্চুুরি ও দুই হাফ সেঞ্চুরিতে ১৪৪.২ ওভারে ৬ উইকেটে ৫৭৫ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। যা বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। জবাবে ৪৮ রানে ৮ উইকেট হারানো বাংলাদেশ মুমিনুল-তাইজুলের জুটিতে শেষ পর্যন্ত ১৫৯ রান তোলে। ১১২ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৮২ রান করেন মুমিনুল।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে বোলার তাইজুলের ব্যাট থেকে, বিপর্যয়ের মাঝেও ৯৫টি বল মোকাবিলা করেন বাঁহাতি এই স্পিনার। নবম উইকেটে মুমিনুল-তাইজুলের জুটি থেকে আসে ১০৩ রান। ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ১০ রান করেন। বাকি ৮ ব্যাটসম্যানের কেউ-ই দুই অঙ্কের রানও করতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার রাবাদা ৯ ওভারে ৩৭ রানে ৫টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট পান প্যাটারসন ও মহারাজ। একটি উইকেট নেন সেনুরান মুথুসামি।
দ্বিতীয় ইনিংসেও বিপর্যয়ের মাঝেই ছিল বাংলাদেশ। এবার প্রোটিয়া স্পিনার মহারাজের তোপে আত্মসমর্পণ করেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ১৪৩ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন পেসার হাসান মাহমুদ। ৩৬ রান করেন অধিনায়ক শান্ত। ২৯ রান আসে অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ব্যাট থেকে। জয় করেন ১১ রান, বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। মহারাজ ৫টি ও মুথুসামি ৪টি উইকেট নেন। একটি উইকেট নেন প্যাটারসন।