টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করার প্রশ্নে যা বললেন হৃদয়
তিন ফরম্যাটেরই অধিনায়কত্ব ছাড়তে চান নাজমুল হোসেন শান্ত। যদিও দুবাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তাকেই নেতৃত্বে রেখে দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে শান্ত যে বেশিদিন অধিনায়কত্ব পালন করবেন না, সেটা অনেকটাই নিশ্চিত। তাই নেতৃত্বের আলোচনাও শুরু হয়েছে, টি-টোয়েন্টিতে ভাবা হচ্ছে তাওহিদ হৃদয়কে।
ডানহাতি তরুণ এই ব্যাটসম্যান অবশ্য নেতৃত্বের ব্যাপারে খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছেন না। দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে আজ দেশ ছাড়ার আগে হৃদয় জানালেন, বিষয়টি পুরোপুরি বিসিবির ওপর নির্ভর করে। দলের ভালো হয়, এমন কারও হাতেই নেতৃত্ব ওঠা উচিত। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশের বশে কয়েকজন ক্রিকেটার দুবাইয়ে উড়াল দিয়েছেন, বাকিরা যাবেন কাল।
বিমানবন্দরে যাওয়ার আগে মিরপুর স্টেডিয়ামের একাডেমি ভবনের সামনে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্বের প্রশ্নে হৃদয় বলেন, 'এ বিষয়ে বিসিবি সিদ্ধান্ত দেবে, আমার হাতে কিছু নেই। আমি মনে করি, এটা শুধু আমার বা এক-দুজন দিয়ে হবে না। এটা বিসিবি বা যারা দায়িত্বে আছেন, তারা ভালো জানবেন। আমার যেটা মনে হয়, দলের ভালোর জন্য যার কাছে (অধিনায়কত্ব) যাওয়া উচিত, তাকেই দেওয়া উচিত। আর যার কাছেই যাবে, তার জন্য শুভকামনা।'
নেতৃত্বের আলোচনায় কারও নাম এলে সাধারণত তাকে প্রশ্ন করা হয়, অধিনায়কের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত কিনা তিনি। আজ হৃদয়কেও একই প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কথাই বলতে চান না জাতীয় দলের হয়ে ৩০টি ওয়ানডে ও ৩২টি টি-টোয়েন্টি মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যান, 'আমি এই ব্যাপারটা নিয়ে এখন কথা বলতে চাইছি না। সামনে যেহেতু আমাদের একটা খেলা আছে, এই ব্যাপারটাতেই মনোযোগ দিতে চাচ্ছি।'
আট মাস পর ওয়ানডে খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রিয় এই ফরম্যাটে সর্বশেষ তারা খেলে গত মার্চে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। বিরতি পড়লেও ওয়ানডে বলেই ভালো করার ব্যাপারে আশাদী হৃদয়, 'আশা করি, ভালোভাবে শুরু করতে পারব। বরাবরই এই সংস্করণে আমরা ভালো খেলে থাকি। এবারও অবশ্যই ভালোভাবে শুরু করতে চাই। আমাদের যে সামর্থ্য আছে, সে অনুযায়ী যদি খেলতে পারি, ভালো কিছু হবে ইনশা আল্লাহ।'
বাকি দুই ফরম্যাটে বাংলাদেশের ভালো সময় যাচ্ছে না। অন্যভাবে বললে, ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী তারা। ভারতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া দলটি ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টেও একই তেতো স্বাদ পেয়েছে। এই দুই ফরম্যাটের পারফরম্যান্স নিয়ে হৃদয় বলেন, 'প্রত্যেক ক্রিকেটার এখানে অনেক পেশাদার। আমার মনে হয়, অতীত নিয়ে বেশি ভাবার কিছু নেই।'
'ম্যাচ ধরে ধরে এগোনো ভালো। হতে পারে একটি ম্যাচ বা বড় কোনো টুর্নামেন্ট। আমি আশা করি, সম্প্রতি আমাদের (ফল) কী হয়েছে বা কী করেছি, এগুলো নিয়ে ভাবার সময় নেই। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, সামনের দিনটা আমরা কীভাবে শুরু করব, সেই দিনটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমি বর্তমানে থাকতে চাই।' যোগ করেন তিনি।
আগামী ৬, ৯ ও ১১ নভেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। সবগুলো ম্যাচই হবে শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এই সিরিজের পর দুবাই থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয় সফরে দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে সফরকারীরা। ডিসেম্বরের শেষ দিকে দেশে ফিরবে তারা।