দায়িত্ববোধ বাড়াতে হবে, উপলব্ধি তামিমের
অপার সম্ভাবনা বিবেচনায় বাংলাদেশ দলে ডাক মেলে তানজিদ হাসান তামিমের। গত বছরের আগস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হয়ে যায় অভিষেক। সেই থেকে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলে নিয়মিত তরুণ বাঁহাতি এই ওপেনার। ভারতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দলের সবগুলো ম্যাচের একাদশে জায়গা হয় তার। কিন্তু আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি, হাফ সেঞ্চুরি করা ইনিংসটাই কেবল উল্লেখ করার মতো।
বিশ্বকাপের আগে পরে মিলিয়ে জাতীয় দলের জার্সিতে ১৮টি ওয়ানডে খেলে ফেলেছেন তামিম। দুটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন, ১৮.০৫ গড়ে রান করেছেন ৩০৭। ১৫ টি-টোয়েন্টিতে ৩টি হাফ সেঞ্চুরিসহ ২৫.২৩ গড়ে তার রান ৩২৮। নিশ্চয়ই এসব মনপুত পারফরম্যান্স নয়। যদিও ক্যারিয়ারের শুরুর পর্বটা রাঙানোর সুযোগ ছিল, বেশ কয়েকটি ইনিংসে ভালো শুরুও পান তামিম। কিন্তু ভালো শুরুর পর খেই হারিয়ে তিনি ফিরেছেন সাজঘরে।
জাতীয় দলে দেড় বছরের বেশি সময় পার করার পর আত্মউপলব্ধি হয়েছে তামিমের। নিজের কারণেই যে ব্যাট হাসছে না, বড় ইনিংস খেলতে পারছেন না; এটা বুঝতে পেরেছেন ২৪ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। ওয়ানডে দলের কয়েকজন ক্রিকেটারের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে সোমবার মিরপুরে তামিম জানালেন, দায়িত্ববোধ বাড়ানোর তাগিদ অনুভব করছেন তিনি।
নিজের ক্যারিয়ারের মূল্যায়ন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রত্যাশার কথা জানতে চাইলে তামিম বলেন, 'দেখুন, যেটা বলছেন আমি এটার সঙ্গে একমত। এখানে আমার ব্যক্তিগতভাবে যেটা মনে হয়, আরেকটু দায়িত্ববোধ বাড়াতে হবে। কারণ বেশিরভাগ ইনিংস আমি ভালো শুরু করেছি, ওখান থেকে বড় করতে পারি নাই।'
'এখন থেকে আমার চেষ্টা থাকবে, আমি যদি ইনিংসে ভালো শুরু করি, সেখান থেকে দায়িত্ববোধ নিয়ে ইনিংসটা বড় করার। আমার ব্যাক অব দ্য মাইন্ড..একটা জিনিস আমি মনে করি এটা আসলে মানসিক ব্যাপার। আমি যদি ভালো গেম প্ল্যান নিয়ে নামতে পারি এবং ভালো শুরু করার পর যদি ইনিংসটা বড় করতে পারি। আশা করি যে, এখান থেকে আরও ভালো হওয়া সম্ভব।'
টেস্টে অনেক দিন ধরেই ব্যর্থ বাংলাদেশের ব্যাটিং বিভাগ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও তা জারি আছে। দুর্দশার ব্যাটিংয়ে প্রথম টেস্ট হারা দলটির ব্যাটিং ভাগ্য বদলায়নি দ্বিতীয় টেস্টেও। ১৬৪ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীদের প্রথম ইনিংস। ওয়ানডে ভিন্ন ফরম্যাট হলেও চ্যালেঞ্জ থাকবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে অনুশীলন করার আগ পর্যন্ত অবশ্য এসব চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভাবতে চান না তামিম।
বাংলাদেশ ওপেনারের ভাষায়, 'সব সিরিজেই শুরুটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু ওখানে অনেকে টেস্ট খেলছে, তারা কন্ডিশন সম্পর্কে অনেক ভালো জানে। ওখানে আমাদের একটা অনুশীলন সেশন আছে, ওখানে গেলে বুঝতে পারবো কী রকম চ্যালেঞ্জ আসতে পারে, এসব চ্যালেঞ্জ আমাদের কীভাবে ফেস করতে হবে। এর আগেও ওখানে বিশ্বকাপ খেলেছি আমরা। ভালো করারই লক্ষ্য থাকবে। চেষ্টা করব যেন শুরুটা ভালো করতে পারি।'
টেস্ট সিরিজ শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। ৮ ডিসেম্বর সেন্ট কিটসে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ওয়ানডে। পরের দুটি ওয়ানডে হবে ১০ ও ১২ ডিসেম্বর। এই ম্যাচ দুটিও হবে সেন্ট কিটসে।