খুলনাকে হারের জ্বালা ফিরিয়ে দিয়ে ঘরের মাঠে শুরু চিটাগংয়ের
হার দিয়ে আসর শুরু করে যেন তেতে উঠেছিল চিটাগং কিংস। এরপর দলটি হয়তো না হারার পণ করেছে। চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজেদের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে হারের পর আর মন খারাপ হয়নি চিটাগং কিংসের, জয়ের মালা বড় করেই চলেছে তারা। এখন পর্যন্ত যে দলটি তাদের হারের স্বাদ দিতে পেরেছে, সেই খুলনাকে আজ প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়ে প্রতিশোধটা নিয়ে নিলো চিটাগং। ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে টানা চতুর্থ জয় তুলে নিলো তারা।
ঘরের মাঠে শুরুটা দুর্দান্তই হলো চট্টগ্রামের দলটির। বৃহস্পতিবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্সকে ৪৫ রানে হারিয়েছে চিটাগং কিংস। খুলনার বিপক্ষে আগের সাক্ষাতে ২০৪ রান তাড়া করতে নেমে ৩৭ রানে হেরেছিল চিটাগং। এরপর থেকে কেবল জিতেই আসা দলটি পাঁচ ম্যাচে চার জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে উঠেছে। ছয় ম্যাচে দুটিতে জেতা খুলনা তালিকার চার নম্বর দল।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে চিটাগং। পারভেজ হোসেন ইমন ও গ্রাহাম ক্লার্কের ব্যাটে দ্বিতীয় উইকেটে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের জুটি পায় তারা। এই জুটিতে বড় রানের পথে এগিয়ে যায় দলটি। জুটিতে বেশি অবদান রাখা ক্লার্ক দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন। ম্যাচসেরা এই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে ৭ উইকেটে ২০০ রান তোলে চিটাগং। জবাবে আরাফাত সানি, শরিফুল ইসলাম, খালেদ আহমেদদের দারুণ বোলিংয়ের সামনে ৯ উইকেটে ১৫৫ রানের বেশি তুলতে পারেনি খুলনা।
লক্ষ্য তাড়ায় খুলনার হয়ে কেউ-ই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩১ বলে ২টি চার ও একটি চক্কায় সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন দারউইশ রসুলি। তেড়েফুঁরে শুরু করা অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ৮ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ১৯ রান করেন। ১৫ বলে ২০ রান করেন আফিপ হোসেন ধ্রুব। ২০ বলে ২৫ রান করেন মোহাম্মদ নওয়াজ। ১২ বলে ১৮ রান আসে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ব্যাট থেকে। ৪ ওভারে ২৫ রানে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন আরাফাত সানি। ২টি করে উইকেট নেন শরিফুল ও খালেদ। একটি করে উইকেট পান আলিস আল ইসলাম ও মোহাম্মদ ওয়াসিম।
এর আগে চিটাগংয়ের হয়ে ব্যাটে শাসন করেন ক্লার্ক, ইংল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যান ২২ গজে রীতিমতো তাণ্ডব চালান। দলের অর্ধেকের বেশি রান তিনি একাই করেন। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া ক্লার্ক ৫০ বলে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কায় ১০১ রানের দুর্বার এক ইনিংস খেলেন। এই ইনিংস খেলার পথে পারভেজ ইমনের সঙ্গে ৬৩ বলে ১২৮ রানের জুটি গড়েন তিনি, যা যেকোনো উইকেটে চিটাগংয়ের সেরা জুটি।
জুটিতে ক্লার্কের অবদানই ৮৯ রান। ভালো শুরু পাওয়া পারভেজ ইমন ২৯ বলে ৪টি ছক্কায় ৩৯ রান করেন। এ দুজন ছাড়া চট্টগ্রামের আর কেউ রান করতে পারেননি। উসমান খান ১০, শামীম হোসেন পাটোয়ারী ১৬ ও অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ১১ রান করেন। আর কেউ দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। খুলনার সালমান ইরশাদ ও মোহাম্মদ নওয়াজ ৩টি করে উইকেট নেন। একটি উইকেট পান আবু হায়দার রনি।