সিলেটকে হারিয়ে প্লে-অফের সম্ভাবনা বাড়ালো রাজশাহী
পারিশ্রমিক নিয়ে তুমুল অনিশ্চয়তা, ম্যাচের দিন হঠাৎ-ই হোটেল বদলানোর নির্দেশনা। এদিনই ম্যাচ না খেলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন দুর্বার রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটাররা। অনেক অনিশ্চয়তা শেষে বিসিবির করে দেওয়া 'বিশেষ ব্যবস্থায়' দেশি একাদশ নিয়েও রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে দেয় দলটি। এক জয়ে উজ্জীবিত হয়ে যাওয়া দলটি আজও জয়ের হাসি হাসলো, টিকে থাকার লড়াইয়ে হারিয়ে দিলো সিলেট স্ট্রাইকার্সকে।
সোমবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেটকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে রাজশাহী। লিগ পর্বে এটাই ছিল রাজশাহীর শেষ ম্যাচ। ১২ ম্যাচে ছয় জয়ে ১২ পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বর দল তারা। আজকের জয়ে প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা বাড়লো তাসকিন আহমেদের দলের। রাজশাহীর আর কিছু করার নেই বলে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর দিকে। ১০ পয়েন্টের মালিক চিটাগং কিংসের আরও তিন ম্যাচ বাকি। চার জয়ে আট পয়েন্ট পাওয়া খুলনা টাইগার্সেরও ১২ পয়েন্ট হওয়ার সুযোগ আছে, তাদের ম্যাচ বাকি দুটি। অর্থাৎ, আপাতত অপেক্ষায় থাকা ছাড়া রাজশাহীর কিছু করার নেই।
আটটি করে ম্যাচ জেতা রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশাল প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে। বাকি পাঁচ দলের মধ্যে সিলেট ছাড়া সবাই আছে প্লে-অফের রেসে। আগেরদিন রাজশাহীর জয়ে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় আসরজুড়ে হারের বৃত্তে বন্দী থাকা সিলেটের। ১১ ম্যাচে দুই জয়ে তলানির দল তারা। আজকের ম্যাচ থেকে যেমন তাদের পাওয়া বা হারানোর কিছু না, এবারের বিপিএলে নিজেদের শেষ ম্যাচে চিটাগং কিংসের বিপক্ষেও তাদের হিসাবটা তাই।
আজ রাজশাহীর বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে সিলেট স্ট্রাইকার্স। দলটির কোনো ব্যাটসম্যানই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৯ উইকেটে ১১৭ রান তোলে সিলেট। সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন আহসান ভাটি। জাকির হাসান ২৪, জাকের আলী অনিক ১৭ ও সুমন খান ২০ রান করেন। সিলেটের আর কেউ দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। রাজশাহীর এসএম মেহেরব দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪ ওভারে ১৫ রানে ৪টি উইকেট নেন। বাঁহাতি পেসার মৃত্যঞ্জয় চৌধুরী ৪ ওভারে ৩৩ রানে নেন ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট পান তাসকিন ও আফতাব আলম।
লক্ষ্য তাড়ায় রাজশাহীর টপ অর্ডার হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। পরে দিকে হাল ধরে দলকে জয় এনে দেন আকবর আলী ও রায়ার্ন বার্ল। ২২ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে আলোর পথে ফেরানো এই দুই ব্যাটসম্যান পঞ্চম উইকেটে ৭৫ রানের জুটি গড়েন। ৩৮ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৩ রান করেন আকবর। ৩৪ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার বার্ল। ওপেনার জিসান আলম ১১ রান করেন, আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। ১৯ বল হাতে রেখে জেতে রাজশাহী। সিলেটের তানজিম হাসান সাকিব ও জন-রাস জাকেসার ২টি করে উইকেট নেন।