নিউজিল্যান্ডে অনুশীলন শুরুর রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষায় শরিফুলরা
নিউজিল্যান্ড সফরটা কঠিন সময়ের মধ্যেই ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে। ১০ ডিসেম্বর নিউজিল্যান্ডের পৌঁছানোর পর থেকেই কোয়ারেন্টিনে আছে মুমিনুল হকের দল। অথচ সাত দিনের কোয়ারেন্টিন করার কথা ছিল। কিন্তু স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ করোনা আক্রান্ত হওয়ায় পাল্টে গেছে হিসেবে নিকেশ। আগামী ২১ ডিসম্বর পর্যন্ত ঘরবন্দি অবস্থাততেই সময় কাটবে বাংলাদেশের।
এরপর মিলবে অনুশীলনের সুযোগ। সেটাও করোনা নেগেটিভ হওয়া সাপেক্ষে। কবে শুরু হবে অনুশীলন, কবে পা পড়বে সবুজ গালিচায়; এই অপেক্ষা দিন কাটছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় দলের অবস্থার কথা জানিয়েছেন তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম। দলের সবাই অনুশীলন শুরুর রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষা করছেন বলে জানান তিনি।
নিউজিল্যান্ডে রোববার বাংলাদেশ দলের সবার করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এটার ফল দেওয়া হবে স্থানীয় সময় কাল বিকাল পাঁচটায়। এই পরীক্ষায় নেগেটিভ হলে নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি পরিকল্পনা দেবে। সেটার ভিত্তিতে জানা যাবে কবে থেকে অনুশীলন শুরু করতে পারবে বাংলাদেশ দল।
শরিফুল বলেন, 'আমাদের অনেক ভালো লাগছে। আজ আমাদের একটি কোভিড টেস্ট নিয়েছে, এটা যদি আমাদের নেগেটিভ আসে তাহলে আগামীকালের পরের দিন (নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে) আমরা অনুশীলনে যাব। এটা নিয়ে সবার মধ্যেই রোমাঞ্চ কাজ করছে। আমরা অনেকদিন ধরে কাজ করছি না, আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন সবার ফল নেগেটিভ আসে।'
আইসোলেশনে থাকলেও দিনে কয়েকবার হোটেলের নিচে নেমে সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হচ্ছে ক্রিকেটারদের। সবাই ভালো আছেন জানিয়ে শরিফুল বলেন, 'আমরা ভালো আছি। আমাদের দুটি গ্রুপ করে দিয়েছে। আমরা প্রতিদিনই সময় করে নিচে এসে দুই-তিনবার দেখা করতে পারি। সামাজিক দূরত্ব মেনে কথা বলতে পারি। ভালো লাগে একজন আরেকজনের চেহারা দেখলে। এবার ভালো কিছুর প্রত্যাশা করছি সবাই, এবার করে দেখাব ইনশা আল্লাহ।'
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি ম্যাচ খেলতে গত ৯ ডিসেম্বর নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেয় বাংলাদেশ দল। পৌঁছে সরাসরি হোটেলে জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। কয়েকদিন পর দলের সঙ্গে যোগ দেওয়া জাতীয় দলের স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ করোনা আক্রান্ত হলে সফর নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়।
এ ছাড়া বাংলাদেশ দল যে ফ্লাইটে করে নিউজিল্যান্ডে যায়, সেই ফ্লাইটের একজন করোনা আক্রান্ত হন। করোনা আক্রান্ত সেই যাত্রীর আশেপাশে বসা বাংলাদেশের নয় জনের আইসোলেশনের সময় বাড়ে। এই নয় জন বাদে বাকিরা গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে জিম শুরু করেন। শুক্রবার দলের পক্ষ থেকে জানানো হয় সর্বশেষ পরীক্ষায় হেরাথ ছাড়া সবাই করোনা নেগেটিভ হয়েছেন।
তবে বেড়েছে আইসোলেশনের সময়, ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুশীলনের সুযোগ মিলবে না। অনুশীলনের অনুমতি দেওয়ার এক দিন পরেই তা প্রত্যাহার করে নেয় নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাই আবারও অপেক্ষায় মুমিনুল-মুশফিকরা। মাউন্ট মঙ্গানুইতে আগামী ১ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। ক্রাইস্টচার্চে ৯ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট।