‘টেস্টের আগে সবাই ছন্দে ফিরতে পারবে’
অবশেষে বন্দি দশা শেষ হয়েছে। নিউজিল্যান্ডে লম্বা কোয়ারেন্টিনের পর মুক্ত বাতাসে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। কেবল চার দেয়াল থেকেই মুক্তিই নয়, মাঠে গিয়ে অনুশীলন করার অনুমতিও মিলেছে। ১১ দিন পর ব্যাট-বল নিয়ে অনুশীলনে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত ক্রিকেটাররা। আগামী কয়েক দিনের অনুশীলনে দলের সবাই টেস্টের আগে ছন্দে ফিরতে পারবেন বলে মনে করেন রাসেল ডমিঙ্গো।
নিউজিল্যান্ড থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এমনই জানিয়েছেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ। প্রোটিয়া এই কোচ জানিয়েছেন, কোয়ারেন্টিনের সময়টা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল ক্রিকেটারদের জন্য। তাই বন্দি অবস্থা থেকে বের হতে পেরে খুব খুশি ক্রিকেটাররা।
২১ ডিসেম্বর লিংকন ইউনিভার্সিটি মাঠে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে অনুশীলন করে বাংলাদেশ। অনুশীলনে ফেরার অনুভূতি জানাতে গিয়ে রাসেল ডমিঙ্গো বলেন, 'বাইরে বের হতে পারার অনুভূতি অসাধারণ। ১১ দিন হোটেলবন্দি থাকা খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল ছেলেদের জন্য। ছেলেরা রৌদ্রজ্জ্বল একটি দিনে মাঠে আসতে পেরে খুব খুশি।'
১১ দিন হোটেলবন্দি থাকায় দলের ওপর প্রভাব পড়েছে। তবে টেস্ট শুরুর আগেই ক্রিকেটাররা ছন্দে ফিরতে পারবেন বলে বিশ্বাস ডমিঙ্গোর, 'আগামী দুই-তিন দিন হাই ইনটেনসিটিতে অনুশীলন হবে ব্যাটিং-বোলিংয়ের। তাওরাঙ্গা গিয়ে টেস্টের আগে ছয় দিন অনুশীলনের সুযোগ পাব আমরা। আশা করি সবাই ছন্দে ফিরতে পারবে টেস্টে নামার আগে। যেমন ইনটেনসিটি দরকার, তা নিশ্চিত করতে পারবে।'
মাঠে ফেরার দিন ওয়ার্ম-আপের পর কিছুক্ষণ ফুটবল খেলেন ক্রিকেটাররা। এরপর শুরু হয় মূল অনুশীলন। নেটে ব্যাটিং করেন মুমিনুল হক-লিটন দাসরা। থ্রোয়ারের বিপক্ষে ব্যাটিং করেন টেস্ট অধিনায়ক। লিটনকে বোলিং করেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। আরেকটি নেটে মুশফিকুর রহিমকে বোলিং করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি ম্যাচ খেলতে নিউজিল্যান্ডে গেছে বাংলাদেশ দল। দেশটিতে পৌঁছানোর পর থেকে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন মুমিনুল-মুশফিকরা। চতুর্থ করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়ায় অনুশীলন শুরুর অনুমতি মিলিছে। মাউন্ট মঙ্গানুইতে আগামী ১ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। ক্রাইস্টচার্চে ৯ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট।