পাঁচ ইনিংসে চার সেঞ্চুরি জাকিরের, মিঠুনের ব্যাটে মধ্যাঞ্চলের স্বস্তি
রানের ফোয়ারা বইয়ে দিচ্ছেন জাকির হাসান। প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতে নামলেই তার ব্যাটে ফুটছে রানের ফুলঝুরি। শেষ পাঁচ ইনিংসের মধ্যে চারটিতেই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ১২২, ১৫৮, ২২, ১০৯, ১০৭*; এটা জাকিরের সর্বশেষ পাঁচ ইনিংস। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ফাইনালে তিন হাফ সেঞ্চুরির পর জাকিরের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩৮৭ রান তুলেছে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল।
পাঁচ দিনের এই ম্যাচে দক্ষিণাঞ্চলের প্রথম ইনিংসের জবাবে দুঃস্বপ্নের শুরুর পরও স্বস্তিতে দিন শেষ করেছে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল। ১৬ রানেই ৪ উইকেট হারানো দলকে পথ দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছেন মোহাম্মদ মিঠুন ও অধিনায়ক শুভাগত হোম।
১৬৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে মিঠুন ১০২ ও শুভাগত ৬৭ রানে অপরাজিত আছেন। তাদের ব্যাটে ৪ উইকেটে ১৮৪ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে মধ্যাঞ্চল। দক্ষিণাঞ্চলের চেয়ে ২০৩ রানে পিছিয়ে আছে তারা।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলমান ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই দিক হারিয়ে বসে মধ্যাঞ্চল। মিজানুর রহমানের জায়গায় সুযোগ পাওয়া আব্দুল মজিদ রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন। এরপর একে একে ফিরে যান সৌম্য সরকার, সালমান হোসেন ও তৈবুর রহমান।
মাত্র ১৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে মধ্যাঞ্চল তখন মাঝ দরিয়ায়। এমন সময়ে দলের হাল ধরেন মিঠুন ও শুভাগত। এই দুই ব্যাটসম্যান পঞ্চম উইকেটে ১৬৮ রানের জুটি গড়ে দিন শেষ করেন। বিসিএলে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পাওয়া মিঠুন ১৫৫ বলে ১৬টি চার ও একটি ছক্কায় ১০২ রানে অপরাজিত আছেন। শুভাগত ১৩৫ বলে ৭টি চারে ৬৭ রানে অপরাজিত আছেন।
৭১ রানের ইনিংস খেলার পর বল হাতে মধ্যাঞ্চলের চারটি উইকেটই নেন দক্ষিণাঞ্চলের অধিনায়ক ফরহাদ রেজা। এর আগে জাকির হাসান ১৬১ বলে ১৫টি চারে ১০৭ রানে অপরাজিত থাকেন। এ ছাড়া এনামুল হক বিজয় ৭৬ ও পিনাক ঘোষ ৬৫ রান করেন। মধ্যাঞ্চলের বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ পাঁচ উইকেট নেন। শুভাগত তিনটি ও আবু হায়দার রনি পান দুটি উইকেট।