রেকর্ড গড়ে কেনিয়াকেও উড়িয়ে দিল বাংলাদেশের মেয়েরা
দাপুটে জয়ে কমনওয়েলথ গেমসের নারী ক্রিকেটের বাছাই পর্ব শুরু করে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক মালয়েশিয়াকে উড়িয়ে দেন সালমা-রুমানারা। দ্বিতীয় ম্যাচেও একই দাপট ধরে রেখেছেন তারা। কেনিয়াকে পাত্তাই দেয়নি বাংলাদেশ। ব্যাটে-বলে শাসন করে বিশাল জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
বুধবার কুয়ালালামপুরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে কেনিয়াকে ৮০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। বাছাই পর্বে পরের দুই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড ও শীলঙ্কা। ম্যাচ দুটি ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সবগুলো ম্যাচই হবে কুয়ালালামপুরে।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। ৫০ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর সালমা খাতুন ও রিতু মনির বিশ্ব রেকর্ড গড়া জুটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১২৫ রান তোলে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। জবাবে নাহিদা আক্তারের রেকর্ড গড়া বোলিংয়ে ১২.৪ ওভারে ৪৫ রানেই শেষ হয় কেনিয়ার ইনিংস।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৬ রানেই প্রথম উইকেট হারায় তারা। উইকেট পতন যে শুরু হয় আর থামাতে পারেনি তারা। তাদের ছয় জন ব্যাট সাজঘরে ফেরেন শূন্য রানে। সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন শ্যারন জুমা। তিনিই একমাত্র দুই অঙ্কের রান করেছেন।
অবিশ্বাস্য বোলিং করেন ম্যাচসেরা নাহিদা আক্তার। বাংলাদেশের বাঁহাতি এই স্পিনার ৩.৪ ওভারে মাত্র ১২ রান খরচায় ৫ উইকেট তুলে নেন। মেয়েদের টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সেরা বোলিং এটা। আগের সেরা ছিল ২০১৮ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পান্না ঘোষের ১৬ রানে ৫ উইকেট। সালমা, সুরাইয়া, রুমানা ও সানজিদা একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ভালো ছিল না। ২৪ রানে প্রথম উইকেট হারানো বাংলাদেশ ৫০ রানের মধ্যে আরও ৫ উইকেট হারায়। কেবল মুর্শিদা খাতুন ২৬ রান করেন। বাকিরা উইকেটে গেছেন আর ফিরেছেন। ৫০ রানে ৬ উইকেট হারানো দলকে পথ দেখান সালমা ও রিতু মনি। দলকে আর কোনো চাপই বুঝতে দেননি তারা।
সপ্তম উইকেটে ৭৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন সালমা-রিতু মনি। মেয়েদের টি-টোয়েন্টিতে এটি সপ্তম উইকেটে রেকর্ড জুটি। আগের রেকর্ড ছিল তাঞ্জানিয়ার মনিকা পাসকাল ও নাসারা সাইদির। ২০১৯ সালে উগান্ডার বিপক্ষে সপ্তম জুটিতে ৭২ রান করেন তারা।
সালমা ৩২ বলে ৩টি চারে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন। রিতু মনি ৩৪ বলে ৩টি চারে ৩৯ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। কেনিয়ার কুইন্টর আবেল সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন। এ ছাড়া মার্সিলাইন ওচেইং ২টি ও লেভেনডা ইডামবো একটি উইকেট নেন।