ঝলমলে রঙিন চেহারায় জহুর আহমেদের গ্যালারি
চেয়ার আছে কিন্তু বসার অবস্থা নেই। একটা ভাঙা তো আরেকটা উল্টে পড়ে আছে, বের হয়ে আছে লোহার পেরেক। কিছু কিছু গ্যালারিতে মাঝে মাঝেই চেয়ার উধাও, আবার কিছু অংশে নেই একটিও। ধাপে ধাপে বসানো সিঁড়িগুলো পড়ে আছে। আগে এখানেই বসতো দর্শকরা, কিন্তু এখন সেই সুযোগও নেই।
উপরের বর্ণনার মতোই অবস্থা ছিল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের। ২২ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১০ হাজার দর্শক বসানোর অবস্থাও ছিল না। গত নভেম্বরে এই অবস্থার মধ্যেই পাকিস্তান সিরিজে মাঠে বসে খেলা দেখেছেন কিছু সংখ্যক দর্শক। তবে সেই চেহারা আর নেই। নতুন চেয়ার বসেছে চট্টগ্রামের এই স্টেডিয়ামে, গ্যালারির অবস্থা এখন ঝলমলে।
গ্যালারিতে নতুন সাড়ে ১২ হাজার চেয়ার বসানো হয়েছে বলে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছেন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার ফজলে বারি খান। তিনি বলেন, 'নতুন চেয়ার বসানোর পর স্টেডিয়ামে ১৮ হাজারের বেশি সিট রয়েছে। আগের কিছু চেয়ার ভালো আছে, সেগুলো রেখে দেওয়া হয়েছে।'
একটা সময়ে সাগরপাড়ের এই স্টেডিয়ামে কোনো চেয়ার ছিল না। তখন ধাপে ধাপে বসানো সিড়ি সদৃশ জায়গাতেই বসে খেলা দেখতেন দর্শকরা। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ উপলক্ষে এই স্টেডিয়ামের আধুনিকায়ন করা হয়। গ্যালারির এক পাশ দোতলা করে পুরো স্টেডিয়ামে প্লাস্টিকের চেয়ার বসানো হয়।
সে সময় চেয়ারগুলো আনা হয়েছিল দেশের বাইরে থেকে। এবার গ্যালারিতে আরএফএলের চেয়ার বসানো হয়েছে। এই চেয়ারগুলো কতো বছর টেকে, তা নিয়ে শঙ্কা থাকছেই। যদিও ফজলে বারির আশা, অন্তত ১০ বছর টিকবে চেয়ারগুলো। তিনি বলেন, 'আগের চেয়ার আনা হয়েছিল দেশের বাইরে থেকে। যা টিকলো অনেক বছর। এবার দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকে চেয়ার নেওয়া হয়েছে। এক বছরের ওয়ারেন্টি আছে। কতদিন টিকবে, তা তো নিশ্চিত করে বলা যায় না। বছর দশেক টিকবে বলে আশা করছি।'
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) মালিকানাধীন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মালিক কিন্তু ব্যবহার করে বিসিবি। নিয়ম অনুযায়ী স্টেডিয়ামের যাবতীয় সংস্কার করার কথা ক্রীড়া পরিষদের। কিন্তু এদিকে কোনো নজরই দেয়নি তারা। দীর্ঘ সময় ধরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দিকে তাকিয়ে থাকার পর বাধ্য হয়ে সংস্কারের কাজ করলো বিসিবি।