সাকিবের সঙ্গে দুটি দল যোগাযোগ করেছিল, দাবি শিশিরের
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দুদিনব্যাপী মেগা নিলামে অবিক্রিত থেকে গেছেন সাকিব আল হাসান। প্রথম দিন নাম ওঠার পর কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি বাংলাদেশ অলরাউন্ডারের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি। ধারণা করা হয়েছিল দ্বিতীয় দিন দল পাবেন আইপিএলে নিয়মিত খেলে আসা সাকিব। কিন্তু প্রথম দিন অবিক্রিত থাকা ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে সাকিবের নাম তোলা হলে এদিনও কেউ আগ্রহ দেখায়নি।
২০১০ সালের পর প্রথমবারের মতো নিলামে অবিক্রিত থেকে গেলেন সাকিব। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার কেন দল পেলেন না, তা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। নানা জন নানা মত দিচ্ছেন। সাকিবের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরও বিষয়টি নিয়ে নিজের মতো করে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তার দাবি, দুটি দল সাকিবের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছিল।
ফেসবুক পোস্টে শিশির লিখেছেন, 'খুব বেশি উত্তেজিত হয়ে যাওয়ার আগে আপনাদের জানিয়ে রাখি, বেশ আগেই দুটি দল ওর সাথে সরাসরি যোগাযোগ করেছিল। তারা জানতে চেয়েছিল, সাকিব পুরো মৌসুম তাদের হয়ে খেলতে পারবে কি না!'
আগামী মে মাসে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ আছে বাংলাদেশ। এই সিরিজে খেলবেন বলেই আইপিএলে সাকিব দল পাননি বলে দাবি শিশিরের, 'দুর্ভাগ্যবশত শ্রীলঙ্কা সিরিজের কারণে ও পুরো মৌসুম খেলতে পারবে না। এ কারণেই দল পায়নি। তবে এটা বড় ব্যাপার নয়।'
শ্রীলঙ্কা সিরিজ না খেললে সাকিবকে বিশ্বাসঘাতক বানানো হতো কিনা প্রশ্ন রেখে শিশির আরও লিখেছেন, 'এটাই শেষ নয়, পরের বছর পরে আছে। আইপিএলে খেলতে হলে সাকিবকে শ্রীলঙ্কা সিরিজ মিস করতে হতো। তখনো কি একই কথা বলতেন, নাকি সাকিবকে বিশ্বাসঘাতক বানিয়ে দিতেন? আপনাদের উত্তেজনায় জল ঢেলে দেওয়ার জন্য দুঃখিত।'
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দারুণ ফর্মে আছেন সাকিব। ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক ৯ ম্যাচে তিন হাফ সেঞ্চুরিসহ ৩৪.৫০ গড়ে ২৭৬ রান করেছেন, যা এখন পর্যন্ত আসরের পঞ্চম সর্বোচ্চ। বল হাতে বাঁহাতি এই স্পিনারের শিকার ১৫ উইকেট, যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। এমন ছন্দে থাকা সাকিব দল পাবেন, এমম আশা করা হলেও সেটা হয়নি।
২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন সাকিব। ২০১৮ আইপিএলের নিলামের আগে সাকিবকে ছেড়ে দেয় কলকাতা। ওই নিলামে ২ কোটি রুপিতে সাকিবকে দলে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। পরের আসরেও হায়দরাবাদের হয়ে খেলেন তিনি। নিষেধাজ্ঞার কারণে ২০২০ মৌসুমে খেলা হয়নি তার। ২০২১ আইপিএলে পুরনো দল কলকাতায় ফেরেন তিনি। আইপিএলে ৭১ ম্যাচ খেলা সাকিবের নামের পাশে আছে ৭৯৩ রান ও ৬৩ উইকেট।