‘অনেক’ অপেক্ষা ফুরানো সেঞ্চুরি তামিমের
আসিথা ফার্নান্দোর ফুল লেংন্থের ডেলিভারিটি স্কয়ার লেগে ঠেলে দিয়েই তামিম ইকবালের ভোঁ দৌড়। রান পূর্ণ করেই লাফিয়ে ভাসলেন শূন্যে। হেলমেট খুলে ব্যাট উঁচিয়ে টেস্টের দশম সেঞ্চুরি উদযাপনে ব্যস্ত অভিজ্ঞ বাংলাদেশ। সেঞ্চুরির তৃপ্তি, সঙ্গে অপেক্ষার অবসানও। তিন বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছালেন তামিম। ঘরের মাঠের হিসাবে ফুরালো ছয় বছরের অপেক্ষা। নিজ শহর চট্টগ্রামের মাটিতে সেটা আরও বেশি, আট বছর পর মিললো সেঞ্চুরির দেখা।
ঘরের মাঠে সর্বশেষ ২০১৬ সালে সেঞ্চুরি করেন তামিম। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ১০৪ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। দেশ-বিদেশ মিলিয়ে তার সর্বশেষ সেঞ্চুরি ২০১৯ সালে। হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নামের পাশে বসিয়েছিলেন ১২৬ রানের দারুণ ইনিংসটি।
এরপর অবশ্য কয়েকবার খুব কাছে গিয়ে তিন অঙ্ক ছোঁয়া হয়নি তামিমের। ২০২১ সালে পাল্লাকেল্লেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯০ এর ঘরে দুই বার আউট হন তিনি। একই টেস্টের দুই ইনিংসে ৯০ ও ৯২ রান করে থামতে হয় তাকে।
অবশেষে গেরো ছোটালেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তুলে নিলেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান দুই অংকের সেঞ্চুরি সংখ্যার মালিক হলেন বাংলাদেশ ওপেনার। সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকার সবার ওপরে মুমিনুল হক, বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক ১১টি সেঞ্চুরির মালিক।
৩৫ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেন তামিম। তৃতীয় দিন দারুণ শুরুর পর সাবলীল ব্যাটিং করে যেতে থাকেন তিনি। লঙ্কান বোলাররা তার কোনো পরীক্ষাই নিতে পারেননি। দশম সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে ১৬২ বল খরচা করেন তিনি। যেখানে ছিল ১২টি চারের মার। অসাধারণ সব শটে বল সীমানা ছাড়া করেছেন বাংলাদেশের অন্যতম এই ব্যাটিং ভরসা। ঘরের মাঠে এটা তামিমের ষষ্ঠ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১২ টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরি তামিমের।
সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পথে দেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ রানের মালিক মুশফিকুর রহিমকে ছাড়িয়ে গেছেন তামিম। চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে ১৩৩ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। ইনিংসটা ১৫২ পর্যন্ত টেনে নিতে পারলেই দেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ৫ হাজার রানের মাইলফলক ছোঁবেন তামিম।