এবাদত-খালেদদের দায়িত্বশীল হতে বলছেন লিটন
একই ম্যাচে দুই দলের পেসারদের মধ্যে কতোই না বৈপরীত্য! যে উইকেটে রাজত্ব করলেন শ্রীলঙ্কার পেসাররা, সেই উইকেটেই নির্বিষ বোলিং করতে দেখা গেল বাংলাদেশের পেসারদের। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেন মিলে ১৮ ওভার বোলিং করে নিয়েছেন এক উইকেট। লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের বিন্দুমাত্র পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি তারা। তাই তো লিটন কুমার দাস বলছেন, বাংলাদেশের এই দুই পেসারকে দায়িত্বশীল হতে হবে।
মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের শুরুটা এলোমেলো করে দেন শ্রীলঙ্কার দুই পেসার কাসুন রাজিথা ও আসিথা ফার্নান্দো। এই দুজনের বোলিং তোপে পড়ে ২৪ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারায় মুমিনুল হকের দল। লিটন ও মুশফিকের রেকর্ড গড়া জুটিতে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ালেও পরের উইকেটগুলো লঙ্কান পেসারদের ঝুলিতেই গেছে।
এবাদত রান আউট হন, বাংলাদেশের বাকি ৯ উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন রাজিথা ও ফার্নান্দো। অর্থাৎ, পেসারদের বিপক্ষেই ভুগেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্টে বিশ্ব ফার্নান্দোর কনকাশন সাব হিসেবে মাঠে নামা রাজিথা ৪ উইকেট নেন। মিরপুর টেস্টে ডানহাতি এই লঙ্কান পেসার ছিলেন বিধ্বংসী চেহারায়, তার শিকার ৫ উইকেট। ৪ উইকেট নেন ফার্নান্দো।
কীভাবে মিলেছে এই সফলতা? দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে রাজিথা বললেন লাইন ও লেংন্থ ঠিক রেখে বোলিং করার বাইরে অন্য কিছুই চেষ্টা করেননি তিনি। রাজিথার ভাষায়, 'দুই ম্যাচেই লাইন ও লেংন্থ ধরে বোলিং করেছি। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে রাউন্ড দ্য উইকেটে বোলিং করি। আমি শুধু লাইন ও লেংন্থ ঠিক রাখছি, এর বাইরে আমি অন্য কিছু চেষ্টা করছি না।'
একই উইকেটে বাংলাদেশের দুই পেসার বিবর্ণ থেকে গেছেন। ৯ ওভার করে দারুণ কিছুর ছাপ রাখতে পারেননি খালেদ-এবাদত। এবাদত একটি উইকেট নিলেও তেমন কোনো পার্থক্য গড়ে দিতে পারেননি। অথচ লিটন বললেন, মিরপুরের এই উইকেট পেসারদের জন্য সুবিধা আছে, 'পেস বোলারদের জন্য উইকেটে সহায়তা আগের দিনও ছিল, আজও ছিল।'
'আমি মনে করি না যে স্পিনারদের জন্য খুব একটা সহায়তা ছিল। তারপরও আমাদের স্পিনাররা যথেষ্ট ভালো বোলিং করেছেন। আমার মনে হয়, আমাদের যে ফ্রন্ট লাইনে দুজন বোলার (পেসার) আছে, তাদেরকে একটু দায়িত্বশীল হতে হবে। কিছু উইকেট নিতে না পারলেও ইকোনোমি দিয়ে যদি বোলিং করতে পারে…। কিছু তো চড়াই উতরাই থাকবেই, ওই জিনিসটার জন্যই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।'