সোয়া চার ঘণ্টার লড়াইয়ে জোকোভিচকে হারিয়ে সেমিতে নাদাল
বয়স চলছে ৩৫, ফিটনেসও নেই মনের মতো। তাই কোয়ার্টার ফাইনালে নোভাক জোকোভিচের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন রাফায়েল নাদাল বলেছিলেন, 'পরিষ্কার ফেভারিট জোকোভিচ, এটাই হতে পারে রোলা গাঁরোয় আমার শেষ।' কিন্তু ম্যাচ মাঠে গড়াতেই টেনিস ব্যাট হাতে দুর্বার নাদালের দেখা মিললো। দাপুটে পারফরম্যান্সে জোকোভিচকে দাঁড়াতেই দিলেন না ক্লে কোর্টের রাজা।
ফরাসি ওপেনের শেষ আটে ৪ ঘণ্টা ১২ মিনিটের লড়াইয়ে জোকোভিচকে হারিয়ে দিলেন নাদাল। ৬-২, ৪-৬, ৬-২, ৭-৬ (৭-৪) গেমে জিতে প্রিয় গ্র্যান্ড স্ল্যামের সেমি-ফাইনালে উঠলেন স্প্যানিশ এই টেনিস তারকা। ফরাসি ওপেনে নাদালের শাসন এ আর নতুন কী, আসরটির রেকর্ড ১৩ বারের চ্যাম্পিয়ন তিনি।
ফরাসি ওপেনের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচ। র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড়ও তিনি। তাই সার্বিয়ান টেনিস তারকাকেই এগিয়ে রেখেছিলেন নাদাল। প্রতিপক্ষকে সমীহ করলেও হার না মানা মানসিকতা থেকে অবশ্য এক বিন্দু টলেননি নাদাল। শেষ হাসিটা তাই তার মুখেই উঠলো।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শুক্রবার মাঠে নামবেন ২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী নাদাল। সেমি-ফাইনালে তার প্রতিপক্ষ র্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বরে থাকা আলেকজান্ডার জাভেরেভ। জার্মানির ২৫ বছর বয়সী এই টেনিস তারকা দারুণ ছন্দে আছেন। টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফরাসির ওপেনের শেষ চারে উঠেছেন তিনি।
নিজেদের মধ্যে ৫৯তম ম্যাচ ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন নাদাল-কোকোভিচ। এই ম্যাচের আগে জোকোভিচ জেতেন ৩০টি ম্যাচ, নাদাল জেতেন ২৮ ম্যাচে। ২৮টি ফাইনালে নাদালের বিপক্ষে লড়েছেন জোকোভিচ। এর মধ্যে শিরোপা জিতেছেন ১৫ বার, নাদাল জেতেন ১৩ বার। গত বছর সেমি-ফাইনালে জোকোভিচের কাছে হেরে যাওয়ার আগে ফরাসি ওপেনে টানা চারটি শিরোপা জেতেন নাদাল।
জোকোভিচকে আগে ভাগেই বিদায় করে পথটা সহজ করে নিলেন নাদাল, পৌঁছে গেলেন ২২তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের আরও কাছে। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন না নেওয়ায় অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে পারেননি জোকোভিচ। ফরাসি ওপেন জিতে নাদালের সমান ২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক হওয়ার লক্ষ্য ছিল তার। কিন্তু সার্বিয়ান টেনিস তারকার অপেক্ষা বাড়লো। বাড়লো নাদালের সঙ্গে শিরোপার ব্যবধানও।