সাকিব অধিনায়ক হওয়ায় দুটি ইতিবাচক দিক দেখছেন সিডন্স
দলের টানা হার, নিজের ব্যাটিং ব্যর্থতা; মুমিনুল হকের ফর্ম নিয়ে সমালোচনা ছিল আগে থেকেই। একটা সময়ে এসে তার টেস্ট অধিনায়কত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠে যায়, শুরু হয় সমালোচনা। কিন্তু সমালোচনা বেশি সময় চলতে দেননি তিনি। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে বৈঠকের পর মুমিনুল জানান, তিনি আর অধিনায়কত্ব চান না। দুদিন পরই সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক ঘোষণা করে বিসিবি। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারকে অধিনায়ক করায় দুটি ইতিবাচক দিক দেখতে পাচ্ছেন জেমি সিডন্স।
বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়ান এই ব্যাটিং কোচ মনে করেন, সাকিব অধিনায়ক হওয়ায় বাংলাদেশ দলের জন্য ভালো হয়েছে। তিনি একই সঙ্গে নেতৃত্ব ও পারফরম্যান্সে উদারহরণযোগ্য। পাশাপাশি অধিনায়কত্বের চাপ চলে যাওয়ায় মুমিনুল এবার ব্যাটিংয়ে ভালোভাবে মনোযোগ দিতে পারবেন। যা বাংলাদেশ দলের জন্য দারুণ ব্যাপার হতে পারে।
দুই ইতিবাচক দিক নিয়ে সিডন্স বলেন, 'আমার মতে এটার দুটি ইতিবাচক দিক আছে। সাকিব খুব ভালো অধিনায়ক এবং খেলাটা নিয়ে খুব ভালো বোধ ওর। একইসঙ্গে যে ধারাবাহিক পারফর্মারও। অধিনায়ক হিসেবে সে দারুণ করবে। সবাই তাকে অনুসরণ করে, কাজেই দারুণ এক নেতা সে।'
'আরেকটি ভালো ব্যাপার হলো মুমিনুল এখন তার ব্যাটিংয়ে নজর দিতে পারবে। সে ব্যাটিং নিয়ে একটু ভুগছিল। এখন ব্যাটিংয়ে শতভাগ মনোযোগ দিতে পারবে। আমাদের জন্য ওর পারফর্ম করা প্রয়োজন। আমরা জানি সে ভালো খেলোয়াড়। তাকে সেভাবে ফিরে পাওয়া প্রয়োজন আমাদের। নেতৃত্বের ভার সরে যাওয়া তার জন্য ভালো হয়েছে। এখন সে মুক্ত হয়ে খেলতে পারবে।' যোগ করেন জাতীয় দলের সাবেক এই প্রধান কোচ।
নেতৃত্ব সাকিব ও মুমিনুলের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরেন সিডন্স। তার ভাষায়, 'সাকিব আগেও নেতৃত্ব দিয়েছে। অধিনায়ক হিসেবে দলের আস্থা আছে তার ওপর, ছেলেরা তার পাশে আছে। এমন নয় যে মুমিনুলের এসব ছিল না। তবে ছেলেদের দেখলে মনে হয়, সাকিব যা করে; তারা তা বেশি অনুসরণ করে। তার দায়িত্বে ফেরাটা তাই দারুণ হবে। মুমিনুল এখন নিজের খেলাটা খেলতে পারে।'
তৃতীয়বারের মতো টেস্ট অধিনায়ক হয়েছেন সাকিব। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে চোটে ছিটকে যান নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। সব ফরম্যাটে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করা হয় সাকিবকে। বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার অধিনায়কত্ব করেন ২০১১ সাল পর্যন্ত। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দীর্ঘ মেয়াদে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব পান সাকিব।
আগের দুই দফা মিলিয়ে বাংলাদেশকে ১৪টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। এর মধ্যে ৩টিতে জিতেছে বাংলাদেশ, বাকি সব ম্যাচে হার। এ সময় অধিনায়ক হিসেবে ব্যাট হাতে ৩৫.৩০ গড়ে ৯১৮ রান করেন তিনি, বল হাতে নেন ৬১ উইকেট। ৫০ ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে ২৩টি ম্যাচে জিতিয়েছেন সাকিব। বাকি ২৭ ম্যাচের ২৬টিতে হার, একটি ম্যাচে ফল আসেনি। টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের নেতৃত্বে ২১ ম্যাচে ৭টিতে জিতেছে বাংলাদেশ।