চুয়াডাঙ্গায় জমে উঠেছে পশুর হাট
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় জমে উঠেছে পশু হাট গুলো। ভাল দাম পাওয়ার আশায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাটগুলোতে আসতে শুরু করেছেন ব্যাপারিরা।
জেলা প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় পশুর হাট রয়েছে ৬টি।
চুয়াডাঙ্গা জেলার চারটি উপজেলায় খামারিরা কোরবানির জন্য প্রায় ৩৭ হাজার গরু প্রস্তুত করেছেন। আর দেশের বিখ্যাত ব্লাক বেঙ্গল জাতের ছাগল প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ১ লাখের বেশি।
খামারিরা শেষ মূহুর্তে গরু ও ছাগল পরিচর্যা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কারণ বাজার ভাল থাকলে দাম বেশি পাওয়া যাবে। একটি গরু মোটাতাজাকরণসহ যাবতীয় খরচ হচ্ছে পালনের উপর ভিত্তি করে ২০-৫০ হাজার টাকা মত।
গরুর আকার ভেদে দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা। ৪০ হাজার থেকে শুরু করে ১২০ হাজার টাকা দরে হাটে গরু বেচা-কেনা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসছেন ব্যাপারিরা গরু কিনতে।
চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজির পরিচালক সাজ্জাদ সরোয়ার জানান, সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে যাতে কেউ বাংলাদেশে গরু আনতে না পারে সে জন্য সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
জেলা প্রাণি সম্পদ অফিস জানায়, কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণ করার জন্য এদের প্রয়োজনীয় খাবার দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে খামারিদের।
এ অঞ্চলের খামারিরা মূলত শাহীওয়াল ও ফ্রিজিয়ান জাতের গরু লালন পালন করেন। গরুর খাবার হিসাবে দেওয়া হয় খড়, খোল, ঘাস, ভুট্রা, চালের খুদ ইত্যাদি। গরু মোটাতাজাকরণ করার জন্য হরমোন জাতীয় কোন ওষুধ ব্যবহার করেন না খামারিরা।
এক সপ্তাহ আগে থেকে চুয়াডাঙ্গার গরু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যেতে শুরু করেছে।