পুরনো ঢাকায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসা থেকে টাকা, স্বর্ণ ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
গেণ্ডারিয়া আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এনামুল হক ও তার দুজন সহযোগীর সূত্রাপুরের বাসা থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকা, ৭৩০ ভরি স্বর্ণ ও ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে, এনামুল ও তার ভাই রূপন হক কাউকেই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। রূপন গেণ্ডারিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ওরা দুই ভাই ফকিরাপুলের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের মালিকানার অংশীদার।
র্যাব-৩-এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে জানান, এনামুল এরই মধ্যে দেশত্যাগ করেছেন। ওদিকে রূপনের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
উদ্ধারকৃত অর্থ অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা থেকে আয় করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
সূত্রাপুরের বানিয়ানগর এলাকায় এনামুলের ছ’তলা বাড়ির তিনটি সিন্দুক থেকে এক কোটি টাকা ও বিপুল পরিমাণের স্বর্ণালঙ্কারসহ ৩টি শটগান ও ২টি রিভলবার উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের সদস্যরা এরপর এনামুলের সহযোগী আবুল কালাম ওরফে কালার নারিন্দার বাড়িতে অভিযান চালান। সেখানে একটি সিন্দুক থেকে দু’কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে। সিন্দুকের পাশে একটি রিভলবার পড়ে ছিল।
এ অভিযানের সময় কালা বাড়িতে ছিলেন না।
সবশেষে র্যাব একই এলাকায় এনামুলের আরেক সহযোগী রশীদের তিনতলা বাড়িতেও তল্লাশী চালান। সেখানে আরেকটি সিন্দুক থেকে দু’কোটি টাকা জব্দ করা হয়।
অভিযানের সময় রশীদও বাড়ি ছিলেন না। তার স্ত্রী জানান, কদিন আগে এই সিন্দুক তাদের বাড়িতে রেখে গেছেন এনামুল।
ওয়ান্ডারার্স ক্লাব থেকে বড় অংকের অর্থ সরানো হয়েছে বলে র্যাব সদস্যরা জানতে পেরেছিলেন।
পরে একজন সিন্দুক নির্মাতার কাছ থেকে তারা জানতে পারেন যে, এনামুল বেশ কটি সিন্দুক তার কাছ থেকে বানিয়ে নিয়েছেন। এসব তথ্যের ভিত্তিতেই র্যাব এনামুলের ছ’তলা বাড়িতে অভিযান চালায়।
স্থানীয়রা জানান, পুরনো ঢাকায় এনামুলের ১৫টি বাড়ি রয়েছে। অস্ত্রের জোরে বাড়িগুলো দখল করেছিলেন তিনি।
১৯৮৫ সালে তিনি গেণ্ডারিয়া ক্লাবের সদস্য হন। পরে ক্লাবের শেয়ার কিনে নিয়ে এর অন্যতম মালিক বনে যান।