প্রত্যাবাসনে রাজি করাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মকর্তারা
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের কেউ তাঁদের আদি নিবাসে ফিরতে চাইছেন না। তারা বলছে, মিয়ানমারের রাখাইনে প্রত্যাবাসনের সহায়ক পরিবেশ নেই।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল ১০ টা থেকে ঘুমধুম আর কেরুণতলী ট্রানজিট পয়েন্টে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল।সকাল ১০ টা থেকেই সেখানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ, ইউএনএইচসিয়ার এবং শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের কর্মকর্তা প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
দেড়ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও প্রত্যাবাসন ট্রানজিটে আসেনি কোন রোহিঙ্গা শরণার্থী। অতঃপর প্রত্যাবাসনে তাদের রাজি করাতে ক্যাম্পে গেলেন ইউএনএইচসিআর ও শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম প্রতিনিধিদলের তিনজনসহ শালবাগানে ২৬ নং শরণার্থীশিবিরে আসেন। এ সময় তাঁরা প্রত্যাবাসন প্রত্যাশী রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষের সঙ্গে কথা বলেন।
এ নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কক্সবাজারের ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, রোহিঙ্গাদের দেওয়া শর্ত পূরণ না হলে তাঁদের একজনও স্বদেশে ফিরতে চান না।
কক্সবাজারের টেকনাফের জাদিমোরা শালবাগান রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের সহকারীর কার্যালয়ের সামনে আজ দুপুর ১২টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মোহাম্মদ আবুল কালাম। এ সময় চীনা প্রতিনিধিদলের দুজন সদস্য ও মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা ছিলেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধিও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।