অ্যান্টার্কটিকায় রক্তে ভেজা তুষারপাত!
অ্যান্টার্কটিকার গবেষণাকেন্দ্র থেকে সম্প্রতি একটি ছবি পোস্ট করেছেন ইউক্রেনের বিজ্ঞানী। সেই ছবি দেখলে প্রথমে মনে হবে রক্তে ভেজা তুষার। ঘাবড়ে গেলেও যেতে পারেন! অত্যন্ত নিষ্প্রভ ৩৬৫ দিন বরফে মোড়া পৃথিবীর এই দ্বীপপুঞ্জে আবার রক্তপাত কেন? কিন্তু সেটা রক্ত নয়- বাস্তবে লাল বরফ। প্রাকৃতিক নিয়মের এই লাল বরফ বা রক্ত তুষার পড়ে অ্যান্টার্কটিকাতে।
এমনটিই দাবি করেছে, ইউক্রেনের শিক্ষা ও বিজ্ঞান মন্ত্রক। এই মন্ত্রকই তাদের সরকারি ফেসবুক পেজে বিজ্ঞানীর তোলা ছবিগুলো পোস্ট করেছে।
যাতে দেখা গেছে, অ্যান্টার্কটিকার একদম উত্তরপ্রান্তের পেনিনসুলা এই লাল বরফে আবৃত। সাদা বরফের চারদিকে ছড়িয়ে সেই লাল বরফের কুচি। খবর এনডিটিভির।
নিউজ উইকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই লাল বরফ কুচি আন্টার্টিকার ভারনাডস্কি গবেষণা কেন্দ্রের আশেপাশে ছড়িয়ে রয়েছে।
অ্যান্টার্কটিকা উপকূলের গালিন্দাজ দ্বীপের অংশ এই গবেষণা কেন্দ্র। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই তুষারপাতে 'রক্তাক্ত' এ অঞ্চল। বরফে ক্ল্যামাইডোমোনাস নিভালিসের উপস্থিতি বেশি থাকার জন্য তার রঙ লাল- এমনটাই দাবি বিজ্ঞানীদের।
হিমাঙ্কের নিচে পারদ সূচক থাকলেও এই বরফ জমে। মেরু অঞ্চল ও পাহাড়ি মেরু এলাকায় এই বরফের আধিক্য বেশি। ক্ল্যামাইডোমোনাস নিভালিসে ক্যারোটেনয়েডস ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে। এই ক্লোরোপ্লাস্ট এমন একটা কণা, যা কুমড়ো ও গাজরকে লাল করে। লাল বরফে সেই কণার আধিক্য বেশি থাকে। এমনটিই দাবি বিজ্ঞানীদের।
ফেসবুকে পোস্ট করা মাত্রই সেই ছবি হাজারের বেশি লাইক ও শেয়ার পেয়েছে। তবে, এই রক্ত বরফের আধিক্য জীববিজ্ঞানীদের কাছে উদ্বেগের কারণ। এই লাল রং সূর্যালোকের প্রতিফলনের প্রতিবন্ধক। ফলের খুব তাড়াতাড়ি গলবে এই বরফ। আরও পরিবর্তিত হবে বিশ্বের ঋতুচক্র। এমন দাবি করেছে ইউক্রেনের শিক্ষা ও বিজ্ঞান মন্ত্রক। আরটি'র এক প্রতিবেদন দাবি করেছে, এই লাল বরফ এর আগেও আল্পস পার্বত্য অঞ্চলে দেখা গিয়েছিল। এর রং লাল হলেও, গন্ধ কিন্তু তরমুজের মতোই।