চট্টগ্রামে বাঘ দম্পতি রাজ-পরীর ঘরে এলো দুই শাবক
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘ দম্পতি রাজ ও পরীর ঘরে জন্ম নিয়েছে দুই বাঘ শাবক। সোমবার সকালে জন্ম নেয় বাঘ শাবক দুইটি। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনার পর দ্বিতীয় বারের মতো বাঘ শাবক জন্ম দিলো এ বাঘ দম্পতি।
গত বছরের ১৯ জুলাই দুইটি সাদা ডোরাকাটা বাঘ জন্ম দিয়েছিলো এ দম্পতি। এর মধ্যে একটি বাঘ মারাও যায়।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ৬৭ প্রজাতির তিন শতাধিক পশু ও পাখি আছে। এর মধ্যে আছে সিংহ, পুরুষ ভাল্লুক, কুমির, চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, উল্টোলেজী বানর, উল্লুক, হনুমান, চিতা বিড়াল, উটপাখি, ইমু, ঘোড়া ইত্যাদি।
এ প্রসঙ্গে চিড়িয়াখানার সদস্য সচিব মো. রুহুল আমিন বলেন, সোমবার সকালে বাঘ শাবক দুইটির জন্ম নিয়েছে। আগামী এক মাস পর তাদের নামকরণ করা হবে। বাঘ শাবক দুইটি সুস্থ আছে। শাবকের কাছে শুধুমাত্র কিউরেটর ছাড়া কাউকেই যেতে দেয়া হচ্ছেনা।
একই প্রসঙ্গে চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাৎ হোসেন শুভ বলেন, একটি মহিলা বাঘের গড় আয়ু ১৬ থেকে ১৯ বছর। এর মধ্যে কোন চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনা ভালো হলে তার আয়ুষ্কালে ৪ থেকে ৫ বার বাচ্চা জন্ম দেয়। আমাদের ব্যবস্থাপনা ভালো হওয়ায় এবং সুষ্ঠু পরিচর্যার কারণে তিন বছরে দুই বার শাবক জন্মদিল এ বাঘ দম্পতি।
চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ২০০৩ সালে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে দুইটি বাঘ আনা হয়েছিল। ২০০৬ সালে বাঘ ‘চন্দ্র’ মারা যায়। ২০০৯ সালে তার সঙ্গী ‘পূর্ণিমার’ ক্যান্সার ধরা পড়ে। ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর পূর্ণিমা মারা যায়। এরপর থেকে চার বছর বাঘহীন অবস্থায় ছিলো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা।
২০১৬ সালের ১৯ আগস্ট বাঘ আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। চারটি প্রতিষ্ঠান বাঘ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করে দরপত্রে অংশ নেয়। সর্বনিম্ন ৩৩ লাখ টাকায় ২৬ সেপ্টেম্বর বন্যপ্রাণী আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ফেলকন গ্রুপকে কার্যাদেশ দেয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। ৮ ডিসেম্বর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে আফ্রিকা থেকে আমদানি করা ১ জোড়া রয়েল বেঙ্গল টাইগার চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় পৌঁছে। একটি বাঘের বয়স ছিলো ১১ মাস, অপরটির ৯ মাস। বাঘ ছাড়াও এ চিড়িয়াখানার জন্য আমদানি করা হয় ৬টি জেব্রা।