জয় ভীমের বাস্তব নায়ক ভারতীয় বিচারপতি কে চান্দ্রু!
আইএমডিবি ইউজার রেটিংয়ে শীর্ষে উঠে আসা 'জয় ভীম' সিনেমায় সুরিয়া শিবকুমারকে দেখা যায় এক আদিবাসী নারীর অধিকার আদায়ের জন্য আইনি লড়াইয়ে নামতে। ছবিতে তাকে নানা প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে আইনি লড়াইয়ে জিততে দেখা যায়।
এসব রোমাঞ্চকর ঘটনা কিন্তু স্রেফ রুপালি পর্দার জন্য লেখা নয়, ঘটনাগুলো এসেছে বাস্তবজীবন থেকে। আর বাস্তবের সেই নায়কের নাম বিচারপতি কে. চান্দ্রু।
চান্দ্রুর জীবন আসলে সিনেমার চেয়ে কোনো অংশে কম নাটকীয় নয়। আজীবন নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর অধিকারের জন্য লড়ে যাওয়া চান্দ্রু জড়িত ছিলেন বাম রাজনীতিতে। ছাত্রাবস্থায়ই তিনি জড়িয়ে পড়েন ছাত্র-কর্মচারীদের অধিকার আদায়ে।
প্রথম জীবন
কে. চান্দ্রুর জন্ম ১৯৫১ সালে, তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লির এক রক্ষণশীল মধ্যবিত্ত পরিবারে। বাবা ছিলেন রেলওয়ের কর্মচারী, ছোটবেলায়ই মাকে হারান। চান্দ্রুর শৈশব কেটেছে চেন্নাইয়ে। শহরটিতে তখন তীব্র খাদ্যাভাব। খাবার কেনার জন্য সারা রাত লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো রেশনের দোকানে। ভোর ৪টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়াত শিশু চান্দ্রু, এরপর এসে তার জায়গা নিত অন্য ভাইবোনেরা।
শৈশব থেকেই দক্ষ রাজনীতিবিদদের বক্তৃতা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনতেন চান্দ্রু। অনেকসময় বক্তৃতা শুনতে শুনতে বাড়ি ফিরতে রাত হয়ে যেত। দেরি হওয়ার শাস্তি হিসেবে বাবা তাকে ঘরে ঢুকতে দিতেন না। কাজেই দরজার সামনেই ঘুমিয়ে পড়তেন চান্দ্রু।
চান্দ্রু যখন চেন্নাইয়ের লয়োলা কলেজে উদ্ভিদবিজ্ঞানে বিএসসি করতে ভর্তি হন, তামিলনাড়ুর ক্ষমতায় তখন দ্রাবিড়া মুনেত্রা কালাগাম (ডিএমকে)। তখন শহরের ডিএমকের সমর্থনে ছাত্রবিক্ষোভ নিয়মিত ঘটনা। তবে চান্দ্রু সেসব বিক্ষোভে যোগ দিলেন না। বিশ্বরাজনীতি সম্পর্কে আরও জানাশোনার জন্য বইপত্র পড়তে শুরু করেন তিনি। এর কদিন পরই ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে এক মিছিলের আয়োজন করেন।
১৯৬৮ সালে বেতন নিয়ে বিবাদের জেরে কিলাভেনমানিতে দলিত সম্প্রদায়ের ৪৪ জনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে তামিলনাড়ু। এই অন্যায়ের প্রতিবাদে আন্দোলন গড়ে তোলার সুযোগ খুঁজতে থাকেন চান্দ্রু। তখন যোগ দেন কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়াতে (মার্ক্সিস্ট)।
তিনি বলেন, 'আমি সিপিআই(এম)-এ যোগ দিয়েছিলাম দুটি কারণে: ওদের মতাদর্শ আমার ভালো লাগত, আর সে সময় ওরা ছিল কট্টর কংগ্রেস-বিরোধী।'
সে সময়ই চান্দ্রু ছাত্রনেতা হয়ে ওঠেন। গঠন করেন স্টুডেন্টস' ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া-র চেন্নাই শাখা।
ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার মূল্য চুকাতে হয়েছিল চান্দ্রুকে। ছাত্রবিক্ষোভের আয়োজনের জন্য দ্বিতীয় বর্ষেই তাকে লয়োলা কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এরপর ড. ম্যাথিউ কুরিয়ান (পরবর্তীতে কেরালা সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা) চান্দ্রুকে মাদ্রাজ ক্রিশ্চিয়ান কলেজে ভর্তি করিয়ে দেন। সেখান থেকেই স্নাতক সম্পন্ন করেন চান্নু। তবে রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন আরও বেশি করে।
এর পরের দুই বছর চান্দ্রু গোটা তামিলনাড়ু চষে বেড়ান। অনেকগুলো সভায় যোগ দেন, ছাত্রদের উদ্দীপ্ত করেন।
ওই সময়ে আন্নামালাই ইউনিভার্সিটি মুখ্যমন্ত্রী এম. করুনানিধিকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ছাত্ররা বিক্ষোভমিছিল করে। তারা প্রশ্ন তোলে, স্নাতক সম্পন্ন করা ছাত্ররা যখন বেকার বসে আছে, তখন মুখ্যমন্ত্রীকে ডক্টরেট দেওয়া হচ্ছে কোন যুক্তিতে। ছাত্রবিক্ষোভে হামলা চালায় পুলিশ। লাঠিচার্জে উদয়কুমার নামে গণিতের এক ছাত্র মারা যান।
এ ঘটনার বাপারে তদন্তের জন্য বিচারপতি এন.এস. রামাসামিকে প্রধান করে তদন্ত কমিশন গঠন করে সরকার। ছাত্রদের পক্ষ থেকে তার সামনে হাজিরা দিয়েছিলেন চান্দ্রু। সেখানে চান্দ্রুর মেধা ও চটপটে ভাব দেখে মুগ্ধ হন রামাসামি। চান্দ্রুকে তিনি আইন নিয়ে পড়তে উৎসাহ দেন।
উকিল ও বিচারক
এরপর চান্দ্রুর বড় ভাইয়ের বন্ধু আইনজীবী ভেনুগোপাল রাও-ও তাকে আইন পেশায় আসার পরামর্শ দেন। তার সাহায্যেই ১৯৭৩ সালে চেন্নাইয়ের গভর্নমেন্ট ল' কলেজে ভর্তি হন চান্দ্রু।
আইন কলেজে চান্দ্রু যখন তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত, তখন তামিলনাড়ুতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। তখন হোস্টেল ছেড়ে দিয়ে ধর্মঘটে যোগ দেন চান্দ্রু। ওই সময়ই আইন পেশায় আসার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি।
স্নাতক শেষ করে চান্দ্রু রাও অ্যান্ড রেড্ডি নামে একটি আইন সংস্থায় যোগ দেন। বিলেতফেরত দুই আইনজীবীর এই সংস্থা দরিদ্রদের জন্য কাজ করত। অল্পদিনের মধ্যেই রাও অ্যান্ড রেড্ডি চেন্নাইয়ের শীর্ষস্থানীয় আইন সংস্থা হয়ে ওঠে।
তবে চান্দ্রুর বিদ্রোহী সত্তা তখনও জাগ্রত আছে। রাও অ্যান্ড রেড্ডিতে যোগ দেওয়ার ক'দিন পরই মাদ্রাজ হাইকোর্টে এক বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন তিনি। জরুরি অবস্থার পর মুক্ত নির্বাচনের দাবিতে প্রথমবারের মতো বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা।
আট বছর পর রাও অ্যান্ড রেড্ডি ছাড়েন চান্দ্রু। নিজেই চেম্বার খোলেন।
সিপিআই(এম)-এর সঙ্গেও কয়েক বছর পরই সম্পর্ক ছিন্ন করেন চান্দ্রু। এরপর তিনি আদালতকক্ষে আরও বেশি মনোযোগ দেন।
উকিলদের কয়েকটি বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিলেও পরে তিনি এরকম বিক্ষোভের বিরোধী হয়ে ওঠেন। তার মতে, আদালত বয়কট করে কোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। চান্দ্রু ঘোষণা করেন, আদালত মামলাকারীদের, উকিলদের নয়।
এক সাক্ষাৎকারে চান্দ্রু বলেন, দুই দশক প্র্যাক্টিসের পর তিনি বুঝতে পারেন যে উকিলদের ধর্মঘট উদ্দেশ্যমূলক হয়ে পড়েছে। তার মতে, এরকম ধর্মঘট আইন পেশার ভবিষ্যতের জন্য খুব ক্ষতিকর। এই মতাদর্শের কারণে আইনজীবীদের একটি সমিতি তাকে বহিষ্কার করেছিল।
'জয় ভীম'-এর একটি দৃশ্যে চান্দ্রুর এই মতাদর্শ বদলের অধ্যায়টি দেখানো হয়েছে। ছবিতে এক জায়গায় দেখা যায় উকিলদের বিক্ষোভ চলাকালেই পুলিশ ব্যারিকেড টপকে সুরিয়া আদালতকক্ষে ফিরে যান, একটি মামলায় লড়ার অন্য।
বয়স যখন ৪১, তখন প্রেমে পড়ে বিয়ে করেন চান্দ্রু।
১৯৯৬ সালে চান্দ্রু সিনিয়র আইনজীবী হন। তখন থেকে তিনি আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে ক্রিমিনাল কেস নিতে থাকেন। বেশ কিছু মানবাধিকারের মামলা নেন চান্দ্রু। এসব কেসের বদৌলতে বহুবার তৎকালীন জয়ললিতা সরকারের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নামতে হয় তাকে।
ওই সময়ই আদিবাসী নারী পার্বতী রাসাকান্নুর মামলা হাতে নেন চান্দ্রু। এই মামলার ঘটনা থেকেই অনুপ্রাণিত 'জয় ভীম'।
পার্বতীর স্বামী রাজাকান্নু ছিলেন আন্দাই কুরুম্বার গোত্রের সদস্য, পেশায় বাঁশের ঝুড়ি নির্মাতা ও কৃষি শ্রমিক। যে বাড়িতে কাজ করতেন, সেখান থেকে গয়না চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি।
পুলিশ হেফাজতে অত্যাচারে রাজকান্নু মারা যান। এই অপরাধ ধামাচাপার দেওয়ার জন্য স্থানীয় পুলিশ রাতের আঁধারে রাজকান্নুর মরদেহ সরিয়ে ফেলে। লাশ ফেলে দেয় পার্শ্ববর্তী তিরুচিরাপল্লি জেলায়। পরে দাবি করে যে, রাজকান্নু তাদের হেফাজত থেকে পালিয়ে গেছে।
কিন্তু পুলিশের গল্প বিশ্বাস করেননি রাজকান্নুর স্ত্রী পার্বতী। স্বামীকে খুঁজে বের করতে সাহায্যের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে একসময় সন্ধান পান কে. চান্দ্রুর। পার্বতীর ন্যায়বিচার পাওয়ার যাত্রায় পথে নামেন তিনিও।
মাদ্রাজ হাইকোর্টে হিবিয়াস কর্পাস পিটিশন করেন চান্দ্রু। দীর্ঘ ১৩ বছরের আইনি যুদ্ধের পর আদালত রায় দেন যে, এটি পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর মামলা। রাজকান্নুকে নির্মমভাবে হত্যার জন্য অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মামলা চলাকালে পার্বতী ও চান্দ্রুকে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেছে পুলিশ। সেই প্রলোভনে টলেননি চান্দ্রু, টাকাভর্তি সুটকেস ছুড়ে ফেলেছেন।
শুধু পার্বতী নয়, এরকম আরও সহস্র প্রান্তিক ও নিপীড়িত অসহায় মানুষকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দিতে সহায়তা করেছেন বিচারপতি কে. চান্দ্রু।
দীর্ঘদিন আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০০৬ সালে চান্দ্রু মাদ্রাজ হাই কোর্টে বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। যদিও তামিলনাড়ুর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা তাকে বিচারক নিয়োগ দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন। তার চোখে চান্দ্রু ছিলেন 'সন্ত্রাসী উকিল'।
বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পরও পরিবর্তন আনার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন চান্দ্রু। তিনি বলেন, 'আমি আদালত শুরুর ১৫ মিনিট আগে পৌঁছতাম, আর বের হতাম আদালতের কার্যক্রম শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা পর। আমি আদালতের কর্মঘণ্টা বাড়ানোর চেষ্টা করেছি।'
অনেক বিচারপতি যখন দিনের এক-চতুর্থাংশ সময় ব্যয় করে ফেলতেন মামলা বাছাইয়ের কাজে, বিচারপতি তখন সে কাজ করতেন মাত্র ১৬ মিনিটে। বাছাই শেষে শুনানির জন্য মামলা নিতেন তিনি।
গুরুত্বপূর্ণ মামলা নিয়ে লড়ার জন্য শুধু নয়, নীতির জন্যও সর্বজনশ্রদ্ধেয় চান্দ্রু। বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় উকিলদের নিষেধ করতেন আদালতে তাকে যেন 'মাই লর্ড' বলে সম্বোধন না করেন। কারণ তার মনে হতো, এই ঘোষণা আসলে তথাকথিত 'মর্যাদার প্রতীক' হয়ে গিয়েছিল।
আদালতে নিজের আগমনবার্তাও বেয়ারা দিয়ে ঘোষণা করানো পছন্দ করতেন না। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা (পিএসও) রাখতেও রাজি হননি তিনি। এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করা হলে তিনি বলেন, 'আদালতে আমাদের ৬০ জন বিচারক আছেন। প্রত্যেকের সঙ্গে আছেন চারজন করে কনস্টেবল। অর্থাৎ ২৪০ জন লোক। তারপর প্রত্যেক বিচারকের একজন করে পিএসও আছে। তার মানে বিচারকদের জন্য ৩০০ লোক রাখা হয়। এই ৩০০ কনস্টেবল দিয়ে গোটা দক্ষিণ মাদ্রাজে নিরাপত্তা দেওয়া যাবে।'
চান্দ্রু কখনো তার মক্কেল বা সহকর্মীদের কাছ থেকে কোনো উপহার নেননি। তার অফিসের সামনে ঝোলানো একটা বোর্ডে লেখা থাকত: 'এখানে কোনো দেবতা নেই, কোনো ফুল নিয়ে আসবেন না। কেউ ক্ষুধার্ত নয়, কোনো ফল আনবেন না। এবং কেউ কাঁপছে না, শাল আনবেন না।'
এমনকি বিচারপতিদের মহা-আরাধ্য 'ফেয়ারওয়েল'কেও সোজা 'না' বলে দেন চান্দ্রু। অবসর গ্রহণের দিন সন্ধ্যায় আদালতের গাড়ি ছেড়ে দিয়ে লোকাল ট্রেনে চেপে বাড়ি ফিরেছিলেন।
বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কে. চান্দ্রু বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন। রায়গুলো সামাজিক ন্যায়বিচারকে কেন্দ্র করে দেওয়া। নারীরা কেন মন্দিরের পুরোহিত হতে পারবেন না, জাত-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য একটি সাধারণ সমাধিস্থল থাকা উচিত এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগা সরকারি কর্মচারীর চাকরির সুরক্ষা প্রদান—এসব তার দেওয়া অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রায়।
এছাড়াও চান্দ্রু কখনো সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাক্টিস না করার কিংবা কোনো ট্রাইব্যুনালের নেতৃত্ব না দেওয়ার শপথ নিয়েছেন। অবসর নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি সরকারি বাসভবন ছেড়ে দেন।
চেন্নাইয়ের আলওয়ারপেটে চান্দ্রুর অফিসের সামনে সাইনবোর্ডে লেখা: 'জুতা খুলবেন না'। অর্থাৎ জুতা খুলে তার অফিসে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
চান্দ্রুর কাছে আইন হচ্ছে মানুষের সামাজিক অধিকার সুরক্ষিত রাখার অস্ত্র। পার্বতীর মামলাসহ—'জয় ভীম'-এ যে মামলা দেখানো হয়েছে—নারীদের বেশ কয়েকটি মামলা লড়েছেন তিনি। তার মতে, এই ২০২১ সালে এসেও নারীদের জন্য বিচারালয়ের দরজা ঠিকমতো উন্মুক্ত হয়নি।