ঋদ্ধি: পোশাক কারখানা থেকে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র
আশপাশের লোক ছয় তলা ভবনটিতে ম্যাট্রিক্স নামের একটি গার্মেন্টস কারখানা দেখে আসছিল বছরের পর বছর। গত বছরের জুন মাসে হঠাৎই ভবনটিতে দেখলো 'ঋদ্ধি প্রকাশন' লেখা একটি নতুন সাইনবোর্ড। মিরপুর-১১ মেট্রো স্টেশন থেকে দুই মিনিটের পথ, পুরোনো ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের পেছনে ওই ভবন।
তখনো পাড়ার লোকে বেশি বুঝে উঠতে পারেনি। কৌতুহল বাড়ে যখন তারা মামুনুর রশীদকে মাঝে মধ্যেই আসা-যাওয়া করতে দেখেন। নাটকের এই মানুষটাকে কে না চেনে! পিছু নিয়ে দুই-চারজন দোতলায় সিঁড়ি বেঁয়ে উঠে বড়সড় সাজানো এক বইয়ের দোকান দেখে অবাক হন। মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়তে থাকে দোকানটির কথা। কেউ কেউ বলেই ফেলল, মিরপুরে এর আগে এমনটি আর দেখা যায়নি।
একুশ বছর আগে, ভবনটির ছাদ ভাড়া নিয়ে ম্যাট্রিক্স নামের গার্মেন্টস প্রিন্টিং ফ্যাক্টরি শুরু করেছিলেন মাহবুবুল হাসান ফয়সাল। বিনিয়োগ করেছিলেন পৌনে দুই লাখ টাকা। তখন তিনি সদ্যই বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করে বেরিয়েছেন। পরিবারের কয়েকজন গার্মেন্টস ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে কাজ পেতে অসুবিধা হচ্ছিল না; তবে খাটতে হচ্ছিল বেশি, কারণ গুণগতমান ১০০ ভাগ নিশ্চিত করতে না পারলে ফয়সাল স্বস্তি পেতেন না। ছোটবেলা থেকেই তিনি গুছিয়ে থাকতে, আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখতে পছন্দ করেন।
নেত্রকোনায় তার নানাবাড়ি। সেখানে আঞ্জুমান আদর্শ স্কুলে পড়তেন ফয়সাল। নিজের একটা ঘর ছিল নানাবাড়িতে। ইতিহাস তার পছন্দের বিষয়। রাত জেগে জেগে ইতিহাস বই থেকে কোহিনূর হীরা কত হাত বদলে শেষে ইংলন্ডেশ্বীরর মুকুটে গিয়ে উঠল– তার তথ্য লিখে রাখতেন। তারপর দিল্লীর শাসনকর্তাদের তালিকা খুঁজে বের করে ক্রম অনুসারে সাজিয়ে রাখতে শুরু করেন। এভাবে মামলুক শাসনকর্তাদের, আব্বাসীয় খলিফাদের নামের তালিকাও করেছিল। এজন্য তার আলাদা কয়েকটি রুল টানা খাতা ছিল যেগুলো কিনেছিলেন রুমা স্টোর থেকে।
পাড়ার লাইব্রেরিতে নিয়মিত হাজিরা দিতেন ফয়সাল। যাদের ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল তাদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। বইয়ের সঙ্গে তার ওঠাবসা স্কুলবেলা থেকেই। নবম শ্রেণিতে ওঠার পর তাকে চলে আসতে হয় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের দাদাবাড়িতে। সেখানে তার দাদীর বড়ভাই এক পাঠাগার গড়ে তুলেছিলেন। নাম আলহাজ্ব ফকিরুন্নেছা গ্রন্থাগার। ফয়সাল গিয়ে দেখেন ২৮ হাজার বইয়ের এক বিশাল সংগ্রহ সেখানে। সওগাত, বেগম পত্রিকার প্রথম সংখ্যা থেকে ইতিহাস, দর্শন, ধর্মতত্ত্ব, কথাসাহিত্যের বিপুল সে ভাণ্ডার।
কলেজে পড়ার সময় ফয়সালকে চলে আসতে হয় ঢাকায়। এইচএসসি পাশের পর ১৯৯৫ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। প্রথম বর্ষে পড়ার মাঝামাঝি সময়ে এক মামাতো ভাই তাকে নিজের পোশাক কারখানায় কাজ করতে বলেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্লাস সেরে প্রতিদিনই চলে আসতেন কারখানায়। গভীর রাত অবধি কাজ করে পরদিন আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস ধরতে চলে যেতেন। কারখানাটি মিরপুর-১ নম্বরে হওয়ায় যাতায়াতে কষ্ট ছিল না বেশি। কারখানার মার্চেন্ডাইজারের সঙ্গে তার সদ্ভাব ছিল বরাবর।
স্নাতক হওয়ার আগেই ফয়সাল মার্চেন্ডাইজিংয়ের সব কিছু আয়ত্ত্ব করে ফেলেন। এত কিছুর মধ্যেও পুরোনো বই, পত্র-পত্রিকা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে নিয়মিতই নীলক্ষেতে ঢুঁ মারতেন। সদস্য হয়েছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচিরও। এক সময় সংগ্রহ যখন বড় হয়ে গেল, একটি খাতা কিনে বইগুলোর তালিকা করতে থাকলেন। পরিবারের সদস্যদের ডায়েরি, বাবা-মায়ের বিয়ের কার্ড, বাবার স্কুলের খাতা, দাদার বাজারের হিসাব ইত্যাদিও ছিল তার সংগ্রহে।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সদস্য হওয়ায় সুবিধা হয়েছিল ভালোই। পড়ুয়া বন্ধু পেলেন কয়েকজন, তাদের সঙ্গে বই আদান-প্রদান করতেন, লাইব্রেরি থেকেও বই নিয়ে পড়তে পারতেন। মৃদুল নামের এক বন্ধু একদিন নিয়ে গেলেন রাজীবের বাসায়। রাজীব তখন বিছানায় পড়ে আছে।
২০০০ সালের ঘটনা। বাংলাবাজার থেকে বেশ কিছু বই কিনে দোতলা বাসে করে মিরপুরে ফিরছিলেন রাজীব। বাসের মধ্যে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিলে দোতলা থেকে নামতে গিয়ে আহত হন। তারই ফলে সে বিছানায়। আলাপে আলাপে ফয়সাল জানতে পারলেন, পুরোনো বই সংগ্রহ রাজীবের নেশা। পরিচিত হয়ে তাই খুশি হলেন।
এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ। ফয়সাল নিজের একটি পোশাক কারখানা গড়ার দিকে মন দিলেন। প্রিন্টিং ফ্যাক্টরির পর সেলাই মেশিন কিনে নিলেন বেশ কিছু। টি শার্ট, পোলো শার্ট, পাজামা তৈরির কাজে হাত দিলেন। ক্রমে ছয় তলা ভবনটির সবটাই ভাড়া নিয়ে নিলেন।
ব্যবসা বড় হচ্ছিল, ব্যস্ততা বাড়ছিল কিন্তু বই ছাড়েননি ফয়সাল। প্রতিদিনই ঘরে ফিরতে রাত গভীর হতো, তবু দশ পাতা না পড়ে ঘুমাতে পারতেন না। বইসূত্রে রাজীবের সঙ্গেও সম্পর্ক দিনে দিনে গভীর হচ্ছিল। একসঙ্গে ২০০৬ সালে রাজীবকে সঙ্গে নিয়ে ফয়সাল গেলেন কলকাতা বইমেলায়। তারপর থেকে প্রতিবছর মেলা উপলক্ষে কলকাতা যাওয়া বহাল রাখলেন দুজনে। মেলা থেকে তো বটেই, রাস্তায় রাস্তায় হেঁটেও দুষ্প্রাপ্য সব বই সংগ্রহ করতে থাকেন।
২০১৫ সাল নাগাদ ফয়সাল একজন সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হয়ে উঠলেন। ২০১৭ সালে রাজীবকে বললেন, "এবার একটি প্রকাশনা সংস্থা করার সময় এসেছে, একটি বুক শপ এবং একটি আর্কাইভও করব। আপনি প্রস্তুতি নিন।" কাছাকাছি সময়ে এনায়েতপুরে খোঁজ নিয়ে ফয়সাল জানলেন ফকিরুন্নেছা লাইব্রেরি তালাবন্ধ, চাবি আছে আরেক আত্মীয়ের কাছে। একদিন সরেজমিনে গিয়ে দেখলেন, অনেক বই-পত্র নষ্ট হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত ১২০০ বই বাছাই করতে পারলেন। এরসঙ্গে পেলেন লাইব্রেরির বইয়ের হাতে লেখা ক্যাটালগ। সব নিয়ে গাড়ি করে ঢাকায় আনলেন। এখন রাখার জায়গা লাগবে।
ততদিনে ফয়সাল মিরপুরের চটবাড়িতে দুই বিঘা পরিমাণ জায়গা নিয়ে নিজের স্থায়ী কারখানা গড়ে তুলেছেন। সেখানে বেশ কিছু গাছ-গাছালি লাগিয়েছেন, একটা বিশ্রাম ঘরও বানালেন যেখান থেকে জোছনা, বর্ষা উপভোগ করা যায়। আগের ভবন থেকে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের কাজ চলছিল, ফলে কিছু ঘর ফাঁকা হয়ে গেল, এনায়েতপুর থেকে আনা বইগুলো তারই একটা ঘরে রাখলেন। দুজন স্টাফ রাখা হলো যাদের কাজ ছিল সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে বই সাফ করা ও সংস্কার করা। চটবাড়ি কারখানা যখন পুরোদমে চলতে শুরু করল, তখন ফয়সাল ওপরের তিন তলা বাড়িওয়ালাকে বুঝিয়ে দিলেন। নিচের তিন তলা নিজের কাছে রাখলেন, স্বপ্ন দেখতে থাকলেন তিন তলার সবটা মিলিয়ে গড়ে তুলবেন এক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
মাঝখানে করোনাকাল কাটিয়ে ২০২১ সালের শেষদিকে জান্নাত জুই নামের এক স্থপতিকে ডেকে আনলেন ফয়সাল। দ্বিতীয় তলায় নিয়ে গিয়ে দেখালেন। বললেন, "এখানে ২,৬৫০ বর্গফুট জায়গা আছে। একটি বুকশপ, একটি কিডস কর্নার, দুটি আর্কাইভ রুম, একটি স্যুভেনির শপ কাম রিসেপশনের ডিজাইন করে দিন।" পুরোনো দরজা-জানালা যতটা সম্ভব রেখে দেওয়ার আগ্রহের কথাও জানালেন।
বুকশপটা যেন বড় হয় তার জন্য ১১টি দেওয়াল ভেঙে ফেলার পরামর্শ দিলেন স্থপতি। বাড়িওয়ালাকে ফয়সাল নতুন উদ্যোগের কথা বিস্তারিত বললেন। বাড়িওয়ালার সম্মতি পেতে কষ্ট হলো না। দেওয়ালগুলো ভেঙে দিয়ে বুকশপের জন্য জায়গা বের করে ফেললেন। তবে বেশি কষ্ট হয়েছিল গ্যাস ও পানির লাইন একধারে সরিয়ে নিতে।
ঘর প্রস্তুত হয়ে যাওয়ার পর দেওয়াল জোড়া তাক বানানো হলো। সবগুলো তাক বই দিয়ে ভরতি করা হলো, সবরকমের পাঠকের কথা বিবেচনায় নিয়ে বই বাছাই করেন ফয়সাল। মেঝের একটা জায়গা একটু উঁচু করে দেওয়া হলো, বেঞ্চিও পেতে দেওয়া হলো কয়েকটি, ফলে শপটা কেবল দোকান নয় পড়ার ঘরও হয়ে উঠল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও নজরুল ইসলামের জন্য আলাদা দুটি কর্নার রাখা হলো। রাজীবকে তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব দিলেন ফয়সাল।
নেত্রকোনা থেকে আনিয়ে নিলেন আব্দুর রাহমান বয়াতীকে। তিনি বুক শপের এক কোনে বসে গান গাইতে গাইতে একতারা, দোতারা, সারেঙ্গী বানাতে থাকেন। সেগুলো এখন বিক্রয়ের জন্য বইয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রদর্শিত হচ্ছে। আর্কাইভের জন্য দুটি ছোট ঘর বরাদ্দ করা হলো যেখানে লম্বা টেবিলের চারধারে চেয়ার রাখা হয়েছে। মূলত গবেষকরাই ঘর দুটি ব্যবহার করতে পারেন।
এবার স্টাফ নিয়োগের পালা। একজন বাঁধাইকারী, দুইজন বিক্রয়কর্মী কাম রিসেপশনিস্ট এবং একজন অভ্যর্থনাকারী বা গাইড নিয়োগ দেওয়া হলো। ২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে বুক শপ পুরোদমে চালু হয়ে গেল। এরপর নিচতলা সংস্কারের কাজ শুরু হলো। আগেই ভাবা হয়েছিল, এখানে একটি রেস্টুরেন্ট হবে। ৫টি দেওয়াল সরিয়ে বড় একটি কিচেন করা হলো, প্রবেশ মুখে কাঁচ ঢাকা ফুড কেস রাখা হলো। স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার যেমন— সিঙ্গারা, বার্গার, ভেজিটেবল রোল, কাটলেট, চাওমিন রাখা হলো মেন্যুতে। এরসঙ্গে কয়েক রকমের কফি ও জুস। রেস্টুরেন্টেও রাখলেন অনেকগুলো বই যেগুলো বিক্রয়ের জন্য নয় তবে পড়তে পারবেন যে কেউ।
ঋদ্ধি বুক ক্যাফে নাম রাখা হলো রেস্তরাঁর। উদ্বোধনী দিনে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, শিল্পী রফিকুন নবী, শিল্পী মনিরুল ইসলাম, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশিদ, জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ, কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে মামুনুর রশীদ ঋদ্ধির উপদেষ্টা। তিনি তার পরিচিতজনদের কাছ থেকে ঋদ্ধির জন্য পুরানো ও দুষ্প্রাপ্য বই সংগ্রহ করতে সাহায্য করেন। এভাবে বই ছাড়াও ডায়রি, লেখার খাতা, ডকুমেন্ট পাওয়া গেছে।
ময়মনসিংহের নূরুল আনোয়ারের কাছ থেকে যেমন একটি খাতা পাওয়া গেছে, যেটির সব পৃষ্ঠায় হাতে লেখা রবীন্দ্রনাথের কবিতা। নীচে রবীন্দ্রনাথের স্বাক্ষরও। বলে না দিলে কেউ বুঝবে না এগুলো নূরুল আনোয়ারেরই লেখা। রবীন্দ্রনাথের হাতের লেখা অনুকরণকে তিনি সাধনার পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।
বুক ক্যাফের উদ্বোধনী দিনে এসে কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব বলেছিলেন, "মিরপুরে একটি গ্যালারি করার ইচ্ছা অনেকদিনের। আপনি (ফয়সাল) কি একটি গ্যালারি করার কথা ভাবতে পারেন?" ফয়সাল ভাবলেন তৃতীয়তলা এখনো খালি পড়ে আছে, সেটাকে গ্যালারি করে তুললে একটা কাজের কাজ হয়।
তবে তার আগে গ্যালারিগুলো ঘুরে দেখতে হবে। তিনি বেঙ্গল আর্ট গ্যালারি, শিল্পী সফিউদ্দিন আর্ট গ্যালারিতে গেলেন। সেখানকার আলোকসজ্জা, দেওয়াল ব্যবস্থাপনা, ছবি টাঙানোর কৌশল ইত্যাদি খুটিয়ে খুটিয়ে দেখলেন। ফয়সাল বলছিলেন, "যেহেতু গ্যালারি একটি বিশেষায়িত স্থাপনা, তাই এর সবকিছু ছবি সাজানো ও দেখানোর প্রয়োজনকে সামনে রেখে যত্নের সঙ্গে করতে হয়েছে। একদিকে একটি মঞ্চও রেখেছি, যেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যায়। গ্যালারির পাশে প্রস্তুত করা হচ্ছে একটি ২৫ আসন বিশিষ্ট সিনে ক্লাব, বড় পর্দায় দর্শনার্থীরা এখানে সিনেমা দেখতে পারবেন। একটি মাঝারি আকারের আর্ট স্টুডিও করেছি, যেটি শিল্পীরা ছবি আঁকার বা ভাস্কর্য গড়ার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। এদিক থেকে দেখলে একে একটি মাল্টি পারপাস হল বলা যাবে। উন্মাদের কার্টুন প্রদর্শনী দিয়ে গ্যালারিটির যাত্রা শুরু হয়েছে। আট দিনব্যাপী ওই প্রদর্শনীতে অনেক দর্শক এসেছিলেন।"
ঋদ্ধি সৃজনশীল নানা উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছে। প্রতি শুক্রবার এখানকার কিডস কর্নারে গল্পপাঠের আসর বসে। অনুপ্রাণ নামের শিশুকিশোরদের জন্য নিবেদিত একটি সংগঠন সপ্তাহে দুই দিন দক্ষতা ও মেধা বৃদ্ধিতে সহায়ক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গবেষক সুরমা জাহিদকে বীরাঙ্গনা ফাউন্ডেশনের কাজ পরিচালনার জন্য স্থান বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি হয়ে উঠছে সৃজনশীল ও মননশীল মানুষদের মিলনস্থল। আশা করা হচ্ছে, দিনে দিনে এর কার্যক্রম বৃদ্ধি পাবে এবং মিরপুরের সাংস্কৃতিক শূন্যতা পূরণ হবে।