অন্য শহর থেকেও নেওয়া যাবে টিকার দ্বিতীয় ডোজ
দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। দেশে চলমান লকডাউনের কারণে টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণকারীরা অনেকেই বিপত্তিতে পড়েছেন। কেউ ঢাকার বাইরে চলে গেছে্ন আবার অনেকে ঢাকার বাইরে থেকে বর্তমানে ঢাকায় এসে অবস্থান করছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রথমে টিকা গ্রহণের জন্য কেন্দ্র পরিবর্তন করা যাবে না বলা হলেও সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত ২৮ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ডাঃ মোঃ শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন কারণে টিকা গ্রহীতাদের অনেকের পক্ষেই প্রথম ডোজ টিকা প্রাপ্তির স্থান থেকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এমন অবস্থায় ১ম ডোজ টিকা গ্রহণের স্থান নির্বিশেষে সংযুক্ত তালিকায় উল্লেখিত কেন্দ্রগুলোতে দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রদান করা যাবে। তবে একই জেলা/সিটি করপোরেশনের মধ্যে কেন্দ্র পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নির্দেশনাটি প্রযোজ্য না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এক্ষেত্রে ভ্যাকসিন কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রয়োগ করতে হবে এবং কিউআর কোড স্ক্যান করে টিকা গ্রহণের তথ্য সুরক্ষা ওয়েব পোর্টালে হালনাগাদ করতে হবে।
যারা ঢাকার বাইরে টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন তারা রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের পাঁচটি টিকাদান কেন্দ্র থেকে টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। এ পাঁচটি হাসপাতাল হলো— কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস এন্ড ইউরোলজি (নিকডু), জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউট, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (সদর উপজেলা ছাড়া) টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করা যাবে।
এর আগে ১৪ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছিলেন, 'বর্তমানে টিকা প্রয়োগ কেন্দ্র পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। এতে করে সিস্টেমে চাপ পড়বে। প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। তাই টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে শঙ্কিত বা উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই'।