আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ জন নিহত
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কক্সবাজার ও ময়মনসিংহে দুইটি পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের একজন জলদস্যু ও একজন অটোচোর বলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক যুবক নিহত হয়। র্যাবের দাবি নিহত যুবক একজন জলদস্যু।
নিহত নুরুল কাদের রানা (৩৪) মাতারবাড়ির সাইরার ডেইল এলাকার নুরুল হকের ছেলে। রানা বঙ্গোপসাগর এলাকার একজন ‘কুখ্যাত’ দস্যু বলে উল্লেখ করেছে র্যাব-৭।
ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তলসহ ৭টি অস্ত্র ও ৬৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান র্যাব-৭ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাশুকুর রহমান।
তিনি জানান, গত ২৬ আগস্ট নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলার এমভি মা বাবার দোয়া ও এমভি মাহিনে ডাকাতির মূলহোতা নিহত রানা। তাকে ধরতে সোমবার ভোররাতে র্যাব-৭ এর সদস্যরা অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে জলদস্যুরা গুলি চালালে আত্মরক্ষায় র্যাবও গুলি করে। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে নুরুল কাদের রানাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
মরদেহটি সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে মহেশখালী থানার পুলিশ।
এদিকে ময়মনসিংহে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাথে বন্দুকযুদ্ধে খলিল (৩৭) নামের আন্তঃজেলা অটোচোর চক্রের সক্রিয় সদস্য নিহত হয়েছে।
নিহত খলিল জামালপুর সদর উপজেলার দাপুনিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। সে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার বাকচালা এলাকায় বসবাস করত।
পুলিশ জানায়, রবিবার দিবাগত রাত সোয়া ১ টার দিকে ময়মনসিংহ শহরের বাকচালা এলাকায় কয়েকজন আন্তঃজেলা চোরচক্রেরর সদস্য চোরাইকৃত অটোরিকশা কেনাবেচা করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশের একটি দল।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে চোরচক্রের সদস্যরা গুলি ছুঁড়লে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আন্তঃজেলা অটোচোর চক্রের সক্রিয় সদস্য খলিলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করা হয়।
পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছে এক এসআইসহ দুই পুলিশ সদস্য।
গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, নিহত অটোচোর খলিলের বিরুদ্ধে ৮টি অটোরিকশা চুরি মামলাসহ ১০টি মামলা রয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুটি চোরাই অটোরিকসা এবং একটি পাইপগান উদ্ধার করা হয়েছে।