আগামী দশ দিনের মধ্যে ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু হবে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
আগামী সাত- দশ দিনের মধ্যেই কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় দেশে আসা ফাইজারের টিকাদান শুরু হবে বলে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম।
"ফাইজারের টিকা একটি বিশেষ ধরণের টিকা, মাইনাস ৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এটিকে সংরক্ষণ করতে হয়। এটিকে সক্রিয় টিকায় রুপান্তরিত করতে একটি ডাইলুটের প্রয়োজন হয়৷ যা কোভ্যক্স ফ্যাসিলিটজ থেকে এ মাসের সাত তারিখে দেশে এসে পৌঁছাবে বলে আমরা আশা করছি। তারপর অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে আমরা আশা করছি যে সাত থেকে দশদিনের মধ্যে এই টিকাটি প্রদান শুরু হবে," বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড বুলেটিনে এসব কথা বলেন অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, "কোথায়, কাদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে তা নিয়ে সংশ্লিষ্টরা কাজ করছে। ফাইজারের টিকার সংখ্যা অত্যন্ত কম, যারা আগে রেজিস্ট্রেশন করেছে তারা পাবেন এ টিকা। অনেকগুলো হাসপাতাল বিবেচনায় আছে, ভ্যাকসিন যেখানে রাখা হয়েছে সেখান থেকে দূরত্ব, সেখানকার লোকবল ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে চূড়ান্ত টিকাদান কেন্দ্র নির্ধারণ করা হবে।"
এর আগে, গত সোমবার (৩১ মে) রাতে ফাইজার ভ্যাকসিনের ১ লাখ ৬২০ ডোজের প্রথম চালান দেশে এসে পৌঁছায়।
ভ্যাকসিন বিষয়ক আন্তর্জাতিক জোট গ্যাভির বিশ্বব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম কোভ্যাক্সের আওতায় এ ভ্যাকসিন পাচ্ছে বাংলাদেশ।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) জানিয়েছে, দুই ডোজের ভ্যাকসিনটির প্রথম ডোজ দেওয়ার তিন সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।
ইতোপূর্বে মাইনাস ৯০- মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ফাইজারের ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করতে হতো। একারণে ভ্যাকসিনটির সংরক্ষণ পদ্ধতি বাংলাদেশে ভ্যাকসিনটি ব্যবহারের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা ছিল।
ভ্যাকসিনটি আরও সহজলভ্য করার উদ্দেশ্যে, ২৬ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন এক মাস পর্যন্ত ভ্যাকসিনটি সাধারণ রেফ্রিজারেটর তাপমাত্রায় সংরক্ষণের অনুমোদন দেয়।
দেশে চতুর্থ ভ্যাকসিন হিসেবে অনুমোদন পেয়েছে ফাইজারের ভ্যাকসিন। এর আগে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড, রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ও চীনের সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহার অনুমোদন দেওয়া হয়।