আবারও আন্দোলনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ
১৬ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে আবারও বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
হামলার প্রতিবাদে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। বরিশালের রুপাতলী বাস মালিক সমিতির সেক্রেটারি কাওসার হোসেন শিপনের নেতৃত্বে এই হামলায় ১৪ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌফিকুল সজল ও ফারজানা আক্তার মেমি নিজ বাড়ি খুলনায় যাওয়ার জন্য নগরীর রুপাতলীর বিআরটিসি কাউন্টারে যান। সেখানে কাউন্টার স্টাফ রফিক তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে সজল ও মেমিকে মারধর ও লাঞ্চিত করেন। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ এবং রফিককে গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। পুলিশ রফিককে এক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে।এ ঘটনার জেরে রাত দেড়টার দিকে রুপাতলী হাউজিং এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেসে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আহতরা হামলাকারীদের নামের তালিকা প্রদান করলেও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে মামলা না করে অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়। একারণেই শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখান করে আন্দোলন আব্যাহত রেখেছেন।
অন্যদিকে রুপাতলী শ্রমিক ইউনিয়নের সব কর্মচারী একজন শ্রমিককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রুপাতলী বাস স্ট্যান্ড অবরোধ করে রেখেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বরিশালের সাথে দেশের পাঁচটি জেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। স্থবির হয়ে পড়েছে বরিশাল শহর।
সকাল থেকেই সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ আছে। হাজার হাজার মানুষ পায়ে হেঁটেই তাদের গন্তব্যের দিকে রওনা দিয়েছেন। বয়স্করা এ ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আলোচনা চলছে।