একজন ইউএনওর বাড়াবাড়ি, নাগরিক অধিকার লঙ্ঘন এবং জেলা আদালতের সাহসী সিদ্ধান্ত
একজন স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা কর্তৃক ক্ষমতার অপব্যবহারের শিকার হওয়া এক ব্যক্তিকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে এলেন ঝিনাইদহের একটি আদালত। এবং মনে করিয়ে দিলেন যে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় মামলা করার সময়ও নাগরিকের গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করা উচিত নয়।
আইনটির অপব্যবহারের শিকার হওয়ার ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আজিজুল হক (২৭)। একদিন সকালে আজিজুল বাসস্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দেখতে পান স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কর্তৃক পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক বাস চালককে মারধর করা হচ্ছে। দৃশ্যটি দেখে তিনি মুঠোফোনে কয়েকটি ছবি তুলে নেন এবং সেগুলো একটি ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে শেয়ার করেন।
এই 'অপরাধের' জন্য ঝিনাইদহবাসী আজিজুলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) আওতায় মানহানি, মিথ্যা তথ্য প্রচার এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করা—এই তিনটি জামিন-অযোগ্য অভিযোগ আনা হয়।
আজিজুলকে ছবি তুলতে দেখে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সদস্যরা জোর করে তার কাছ থেকে মুঠোফোনটি কেড়ে নেন। তারপর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠানো ছবির স্ক্রিনশট নেওয়া হয়।
২১ দিন জেল খাটার পর ভারপ্রাপ্ত ঝিনাইদহের জেলা ও দায়রা জজের আদালতে জামিন পান আজিজুল।
জামিন দেওয়ার পাশাপাশি এক লিখিত আদেশে আদালত মন্তব্য করেন, এমন অভিযোগে মামলা দায়ের ভুল হয়েছে। এছাড়াও এটি সাংবিধানিক অধিকারেরও পরিপন্থী।
ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শওকত হোসাইন মন্তব্য করেন, এমন স্পর্শকাতর মামলা নেওয়ার আগে পুলিশের উচিত ছিল ঠিকমতো তদন্ত করা।
আদালত বলেছেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মত সরকারি কর্মচারী একজন নাগরিকের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে তার ব্যক্তিগত মেসেজিং কনটেন্ট দেখতে পারেন না।
মানহানি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির অভিযোগের বিষয়ে আদালত বলেছেন, হোয়াটসঅ্যাপ যেহেতু একটা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপটেড একান্ত ব্যাক্তিগত মেসেজিং অ্যাপ, তাই হোয়াটসঅ্যাপে কী বার্তা পাঠানো হলো তা বার্তা প্রেরক ও বার্তা প্রাপক ছাড়া অন্য কারোরই জানার সুযোগ নেই। তাই এরকম যোগাযোগের ফলে কারো মানহানির বা সহিংসতা সৃষ্টির সুযোগ নেই।
আদালত বলেন, 'এছাড়া আইনে বলা আছে মানহানিকর বা মিথ্যা তথ্য প্রচার বা প্রকাশ করা হলে তবেই সেটা অপরাধ। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপের ব্যাক্তিগত বার্তা তো সবার জন্য উম্মুক্ত নয়। এজন্য এরকম বার্তাপ্রেরণকে প্রচার বা প্রকাশ হিসেবে বিবেচনা করার সুযোগ নেই। এরকম বার্তা বরঞ্চ নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা-সংক্রান্ত সাংবিধানিক অধিকার দ্বারা সুরক্ষিত।'
আইন সম্পর্কে জানেন না, জানার দরকারও মনে করেন না
আজিজুলের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী হয়েছেন কালীগঞ্জ ইউএনও অফিসের অফিস সহায়ক মো. লুঃফর রহমান। তিনি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, ইউএনও সাদিয়া জেরিনই তাকে মামলা করতে বলেছেন। তিনি শুধু ইউএনওর আদেশ পালন করেছেন।
লুৎফর রহমান বলেন, 'আদালত কী আদেশ দিয়েছেন তা আমার জানা নেই। আমার জানার দরকারও নাই। সেটাও ইউএনও স্যার বুঝবেন। আমাকে বাদী হতে বলেছেন, আমি বাদী হয়েছি।'
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সর্ম্পকে জানেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে লুৎফুর রহমান বলেন, তিনি আইনটি সম্পর্কে জানেন না, জানা দরকারও মনে করেন না।
কালীগঞ্জের ইউএনও সাদিয়া জেরিন টিবিএসকে বলেন, 'আইন করাই হয়েছে প্রয়োগ করার জন্য।' তিনি বলেন, তার কাছে মনে হয়েছে মামলাটা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় করা দরকার।
মামলা করাটা যৌক্তিক ছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইউএনও বলেন, সরকারি কাজে বাধা দিয়েছেন বলে আমার মনে হয়েছে মামলা করা উচিত। এ ধরনের বাধা সার্ভিসের ওপর প্রভাব ফেলে।
ইউএনও জানান, তিনি আদালতের আদেশ পেয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কাশেম বিশ্বাস জানান, তারা ফরেনসিক রিপোর্ট চেয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে আজিজুলের ফোন পাঠিয়েছেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার সময় মানবাধিকার সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শ
যেহেতু ব্যক্তিগত মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ ফেসবুক পোস্ট বা প্রকাশিত বিষয়বস্তুর মতো পাবলিক পোস্ট নয়, তাই প্রেরক ও প্রাপক ছাড়া অন্য কারো এই ধরনের ব্যক্তিগত যোগাযোগ দেখার অধিকার নেই, সংবিধানের ৪২ অনুচ্ছেদের উল্লেখ করে আদালত এ কথা বলেন।
এছাড়াও আদালত সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, 'এটি একটি একান্ত ব্যক্তিগত ও গোপনীয় যোগাযোগ, যা বাংলাদেশ সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদ দ্বারা সুরক্ষিত।'
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের কথা উল্লেখ করে আদালত বলেছেন, ব্যক্তিগত টেলিযোগাযোগ, বার্তা ও কথোপকথন কেবলমাত্র রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে গোয়েন্দা সংস্থা, জাতীয় নিরাপত্তা স্থংস্থা, তদন্তকারী সংস্থা বা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থার 'সরকার কর্তৃক সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত' কর্মকর্তা প্রতিহত, রেকর্ড ধারণ বা সংগ্রহ করতে পারেন। এর বাইরে অন্য কেউই কারো মোবাইল হাতে নিয়ে তিনি তার বন্ধু বা বন্ধুদেরকে কী মেসেজ পাঠালেন তা দেখার অধিকার রাখেন না।
আদালত বলেছেন, অপরাধমূলক কাজ 'প্রচার' বা 'প্রকাশ' করা হলেই কেবল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৯/৩১ ধারার বিধান অনুযায়ী অভিযোগ আনা যাবে।
আদালত বলেন, 'অপ্রকাশ্য বা গোপন ব্যক্তিগত মেসেজ, যা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়, তা কোনোমতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের উক্ত তিনটি ধারায় উল্লিখিত 'প্রচার' বা 'প্রকাশ' হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না। ফেসবুক ষ্ট্যাটাসে কেউ যদি প্রাইভেসি সেটিং দিয়ে কোনো একটি নির্দিষ্ট লেখাকে 'অনলি মি' (অর্থাৎ এটি পোষ্টদাতা ছাড়া আর কেউ দেখতে পাবে না) করে রাখে, সেটি যেমন প্রচারণা বা প্রকাশনা নয় বরং একান্ত ব্যক্তিগত গোপন জিনিস, তেমনি ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা সীমিত কয়েকজন বন্ধুর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মেসেজ আদান-প্রদানও ব্যক্তিগত গোপন জিনিস। এ কারণে এরকম বার্তা আদানপ্রদান কোনো অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে না।'
আদালত আরও বলেন, এছাড়াও জব্দকৃত ছবিটি এবং এজাহারে উল্লিখিত বার্তাটিও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি বা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার মতো কোনো বার্তা নয় যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মত কঠোর একটি আইনে মামলা দায়ের করতে হবে।'
আদালতের মতে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের উল্লিখিত তিনটি ধারা যেহেতু সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে উল্লিখিত নাগরিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং ৪২ অনুচ্ছেদে উল্লিখিত নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই আইনের এই তিনটি ধারা অতিশয় সতর্কতার সঙ্গে এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে, যাতে এর প্রয়োগ কোনোভাবেই সংবিধানের ৩৯ ও ৪২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয়।
আদালত বলেন, মামলাটি রুজু করার সময় যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন করা হয়নি বলেই প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটির আদেশের কপি ঝিনাইদহ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার ও ঝিনাইদহের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানোরও আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ক্ষমতার প্রদর্শন করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বলছেন আইন বিশেষজ্ঞরা
আজিজুলের জামিন শুনানির সময় আদালত স্থানীয় আইনজীবী ও আইন বিশেষজ্ঞদের মতামত চেয়েছিলেন।
ঝিনাইদহ বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খান আখতারুজ্জামান আদালতকে বলেন, মনে হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অত্যন্ত অসহিষ্ণু আচরণ করেছেন এবং গোপনীয়তার সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করেছেন।
বারের সিনিয়র সদস্য অ্যাডভোকেট একরামুল হক বলেন, পুরো প্রক্রিয়ায় আসামির সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।
সিনিয়র আইনজীবী রবিউল ইসলামের মতে, অভিযুক্ত যেহেতু কোনো পাবলিক পোস্ট করেননি, তাই মামলা দায়ের করাই অবৈধ হয়েছে।
সিনিয়র আইনজীবী মফিজুল ইসলাম বলেন, মামলাটি নেওয়ার আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাউকে মারধর করেছে বা লাঞ্ছিত করেছে কি না, তা পুলিশের তদন্ত করা উচিত ছিল।
মফিজুল ইসলাম বলেন, প্রকৃতপক্ষে অভিযুক্ত শুধু ভ্রাম্যমাণ আদালতের দ্বারা আক্রান্ত হলে সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদে উল্লিখিত মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারে প্রয়োগ করেছেন। কোনো তদন্ত ছাড়াই মামলা দায়ের করা উচিত হয়নি।
পাবলিক প্রসিকিউটর আদালতকে বলেন, আরো সতর্কতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা উচিত ছিল।
কী ঘটেছিল সেদিন?
আজিজুল হক জানান, গত ২ আগস্ট সকাল ১১ টার দিকে তিনি নিমতলা বাসস্ট্যান্ডের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে দেখতে পান একজন বাসচালককে ঘিরে ভিড় জমে গেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে ওই বাসচালককে প্রথমে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। তখন ওই বাসচালক ইউএনওর কাছে জরিমানার টাকা কমাতে অনুরোধ করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে জরিমানার টাকা কমিয়ে ২ হাজার টাকা করা হয়। তবে এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের লোকজন বাসচালককে মারধর করেন।
আজিজুল তার মোবাইল ফোনে ওই মারধরের কিছু ছবি তোলেন। তারপর ছবিগুলো তার বন্ধুদের কাছে পাঠান। ছবি তুলতে দেখে তাকে টেনে-হিঁছড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আজিজুলের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো ছবির স্ক্রিনশট নেওয়া হয়।
এরপর তাকে ইউএনওর গাড়িতে তুলে নিয়ে বিকেল তিনটার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গাড়িতে জেরা করার সময় আজিজুলকে ছবি তোলার জন্য প্রচণ্ড গালিগালাজ করা হয়।
পরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আজিজুলকে আটক দেখিয়ে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।
প্রায় ২১ দিন কারাভোগের পর আদালতের আদেশে গত ২৪ আগস্ট তিনি জামিন পান।
আজিজুল টিবিএসকে বলেন, এর মধ্যেই তার জীবনে বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। সমাজের চোখে তিনি এখন বড় অপরাধী।
এছাড়াও জামিন পাওয়া পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ে আজিজুলের খরচ হয়েছে প্রায় ৯০ হাজার টাকা, যা তার প্রায় দেড় বছরের রোজগার। এ টাকা তিনি ধারদেনা করে জোগাড় করেছেন। ফলে তিনি এখন অর্থকষ্টেও আছেন।
তবে মামলার আদেশে আদালতের প্রতি সন্তোষ জানিয়েছেন আজিজুল হক।
তিনি বলেন, 'আদালতই মানুষের শেষ ভরসা। তবে এখনো শঙ্কা কাটেনি। কারণ ইউএনও আর তার স্বামী দুইজনেই ক্ষমতাধর সরকারি কর্মকর্তা।'
আজিজুল বলেন, আদালতের আদেশের পরও পুলিশ তাকে তেমন সহযোগিতা করছে না। বরঞ্চ চূড়ান্ত প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত তিনি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছেন না।
আসামির আইনজীবী মো. আজিজুর রহমান বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালীন ছবি তোলা কোনো ফৌজদারী অপরাধ নয়, বরঞ্চ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে অভিযুক্তকে শারীরিকভাবে আঘাত বা মারধর করাই বেআইনি কাজ।
তিনি বলেন, 'আমরা প্রায়ই দেখি যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া সরাসরি সাংবাদিকদের সামনে পরিচালিত হয় এবং সেসব গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারও হয়।
'ছবি ধারণ করা বা বিচার সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করা আসামির নাগরিক দায়িত্ব এবং অধিকার।'
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায় এড়াতে পারেন না: বিশেষজ্ঞরা
প্রাক্তন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ আলী ইমাম মজুমদার বলেন, 'বিচার বিভাগ জড়িয়ে পরায় ঘটনাটি যেহেতু এখন আর স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, তাই আমি মনে করি আদালত সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।'
তিনি অবশ্য ইউএনও দায় এড়াতে পারেন কি না সে বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিক আদালতের আদেশের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উচিত ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানোর সময় ইউএনও আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা।
সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী অলেন, 'তিনি যদি ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তার বিরুদ্ধে পদত্যাগ, স্থগিতাদেশ বা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।'
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট আইন লঙ্ঘন করেছেন।
তিনি বলেন, 'তিনি আইনটি না বুঝেই এ কাজ করেছেন, এরকম অজুহাত গ্রহণযোগ্য। কাজেই তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।'