এটিএম বুথ হ্যাক করে টাকা হাতিয়ে নিতো তারা
চট্টগ্রামে এটিএম বুথ থেকে টাকা চুরির সঙ্গে জড়িত চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
চক্রটি এটিএম বুথের মেশিনে পেনড্রাইভ ঢুকিয়ে সফটওয়্যারের সাহায্যে টাকা উত্তোলন করতো বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার ফারুক উল হক।
আজ বুধবার দুপুরের নগরের ডবলমুরিং থানায় আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলো; মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম (৩৪) ও মনির (৩০)। এরমধ্যে শরীফুল ইসলাম ঢাকার ও মহিউদ্দিন মনির চট্টগ্রামের সদরঘাট এলাকার বাসিন্দা। গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ মিডল্যান্ড ব্যাংকের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
সিএমপি জানিয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু এটিএম বুথকে টার্গেট করে অনলাইন থেকে ওইসব এটিএম বুথের মেশিনের 'ডিজিটাল কি' উৎপন্নে সক্ষম ম্যালওয়্যার সংগ্রহ করতো চক্রটি। পরবর্তীতে পেনড্রাইভ ঢুকিয়ে ম্যালওয়্যারটি এটিএম মেশিনে প্রবেশ করাতো তারা। এরপর ওয়ারলেস মিনি কি-বোর্ডের সাহায্যে এটিএম বুথ নিয়ন্ত্রণ করে সেখান থেকে টাকা উত্তোলন করতো চক্রটি।
তাদের কাছ থেকে পেনড্রাইভ, ওয়ারলেস মিনি কিবোর্ড, ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ সংযুক্ত এটিএম ক্লোন কার্ড, অস্ত্রসহ জালিয়াতিতে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
সিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম ক্রেডিট কার্ড, এটিএম কার্ড ও এটিএম মেশিন কন্ট্রোল নেওয়ার মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারে। জালিয়াতির অপরাধে মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম ২০১৩ সালে ও ২০১৮ সালে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ চাষাড়ায় পূবালী ব্যাংকের এটিএম বুথ, কুমিল্লার কান্দিরপাড় পূবালী ব্যাংকের এটিএম বুথ, চট্টগ্রামের চকবাজার কলেজ রোড পূবালী ব্যাংকের এটিএম বুথ, ডবলমুরিং থানার চৌমুহনী ফারুক চেম্বারের পূবালী ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করে মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা।
গ্রেফতারকৃত শরীফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিএমপি উপ-কমিশনার।